দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি পুরস্কারের বন্যায় ভাসছে ভারতের নারী ক্রিকেটাররা। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে তারা পেয়েছে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার (প্রায় ৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা)।
এর পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নারী ক্রিকেটারদের জন্য ঘোষণা করেছে ৫১ কোটি রুপি (প্রায় ৭১ কোটি টাকা) আর্থিক পুরস্কার। বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া জানিয়েছেন, এই অর্থ ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও নির্বাচকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
ভারতে রাতারাতি জাতীয় নায়িকা হয়ে ওঠা এই ক্রিকেটারদের জন্য অতিরিক্ত পুরস্কারের ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। রাজ্যসভার সাংসদ ও সুরাটের ব্যবসায়ী গোবিন্দ ঢোলাকিয়া জানিয়েছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে হাতে তৈরি হীরের গয়না ও রুফটপ সোলার প্যানেল উপহার দেওয়া হবে। ফাইনালের আগে বোর্ডে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি তাদের সাহস ও মনোবলেরও প্রশংসা করেন।
এছাড়া বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানির সঙ্গে নারী ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপনচুক্তিও বাড়ছে। বিশ্বকাপ জয়ের কিছুক্ষণ পরই অধিনায়ক হারমানপ্রিত কউরের সঙ্গে চুক্তি করেছে একটি নির্মাণ কোম্পানি। স্মৃতি মন্ধানাও ইতোমধ্যে বহু প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। নতুন বিজ্ঞাপনের প্রস্তাবও ঢল নামছে তার কাছে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু জানিয়েছেন, রাজ্যের ক্রিকেটার রেণুকা ঠাকুরকে এক কোটি রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। অপরদিকে মধ্যপ্রদেশ সরকারও রাজ্যের ক্রিকেটার ক্রান্তি গৌড়কে এক কোটি রুপি পুরস্কৃত করবে।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকা আয়ের তালিকায় নাম উঠেছে হারমানপ্রিত কউর ও স্মৃতি মন্ধানার। টাকার অঙ্ক ভারতের পুরুষ জাতীয় দলের আয় থেকেও বেশি। এমনকি, ২০২৩ সালের পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলও এর চেয়ে কম অর্থ পেয়েছিল।
বুন্দেলখণ্ডের ছাতারপুর জেলার ঘুয়ারা গ্রামের মেয়ে ক্রান্তি গৌড় টুর্নামেন্ট জুড়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ফাইনালে উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ৬৩ ওভার বোলিং করে ৫.৭৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
