ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

জাবি শিক্ষিকা নাহরিনের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মামলা

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সঞ্চালক কাজী জেসিনের উপস্থিতিতে ড. নাহরিন ইসলাম খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের সিরাজগঞ্জ শাখার সেক্রেটারি গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি ‘জামায়াতের হক’ বলেছিলেন। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ‘জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী’। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

তবে বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জামায়াত নেতা বলেছিলেন ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে আমাদের দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টারদের ভোট আমাদের দিকে আসবে।

অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যে বক্তব্যটি আমি কোট করেছিলাম, দুই সপ্তাহ ধরে সেই বক্তব্যের ফটোকার্ড সারা দুনিয়ায় ঘুরেছে, তখন সেটা তাদের চোখে পড়েনি এবং যিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্যটিও আর অনলাইনে নেই। যখন কোনো তথ্য পত্রিকায় অথবা টেলিভিশনে ঘুরে, এটার সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব সরকারের, পাঠকের নয়। কারণ একজন পাঠক জানেন না এটা মিসইনফরমেশন নাকি ডিজইনফরমেশন। একটি টক শো ছিল মির্জা গালিবের সঙ্গে, সে সময় মির্জা গালিব এ বিষয়ে কিছুই বলেননি বা প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু একদিন পরে তিনি ফেসবুকে আপলোড করেছেন যে, এটার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ধরনের যদি কোনো মামলা করতে হয় তাহলে যেখান থেকে সেটা ছড়িয়েছে (ফেসবুক), তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনে আমার একটি ভূমিকা ছিল, সেখানে আরও দুইজন শিক্ষক ছিলেন, তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছিল। আমি মনে করি, এটি আমার বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত অ্যাকশন।’