ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

গণভোট আয়োজনে গড়িমসি উদ্বেগজনক: জামায়াত

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি- সংগৃহীত

গণভোট আয়োজনের দেরি ও অনিশ্চয়তার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে তারা জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ কার্যকর করতে অবিলম্বে গণভোট আয়োজন করা প্রয়োজন—অন্যথায় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণভোটের গুরুত্ব বিপন্ন হবে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জামায়াত আমির তার সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের নানা দিক নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেন। তার সফর দেশ ও জাতির জন্য ফলপ্রসূ হওয়ায় আল্লাহর প্রতি প্রশংসা করা হয় এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এ সময় বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে, যা দেশের জন্য উদ্বেগজনক। 

বৈঠকে বলা হয়, কেউ কেউ গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে করার মতো প্রস্তাব পোষণ করছেন। তবে একই দিনে দুটি ভোট অনুষ্ঠিত হলে গণভোটের গুরুত্ব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। বিশেষত, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হবে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে যে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে অবিলম্বে আদেশ জারি করা হোক এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা হোক। এ ছাড়া, ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ আরও জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হয়, এ জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি। এই দাবিও সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোরভাবে জানানো হয়েছে।