ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

নতুন তিন দলকে প্রতীক বরাদ্দ, এনসিপি পেল ‘শাপলা কলি’

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
নির্বাচন কমিশনের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

নিবন্ধন পেতে যাওয়া নতুন তিনটি দলকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পেল ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) পেল ‘কাঁচি’ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) কমিশন এই তথ্য গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো দাবি বা আপত্তি আসে, তা নিষ্পত্তি করে দলগুলোকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেওয়া হবে। এর পর থেকে এই প্রতীকগুলো দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে এই তিন দল। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৪৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ২২টি দলকে মাঠ পর্যায়ের তদন্তে পাঠানো হয়।

প্রাথমিকভাবে এনসিপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধনের অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রতীক ও কার্যক্রম সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ১০টি দলকে পুনরায় বিস্তারিত তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই তদন্তে দলের কেন্দ্রীয় কার্যক্রম, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যকরীতা, সদস্য ও ভোটার সমর্থনের তথ্য যাচাই করা হয়।

পুনঃতদন্তে পাঠানো ১০টি দলের মধ্যে রয়েছে আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়সংখ্যক জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রতিটি কমিটিতে অন্তত ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হবে।

একজন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা বলেন,‘প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এবং মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শেষে আমরা প্রতীক বরাদ্দ করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো নতুন রাজনৈতিক দলগুলো যাতে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং তাদের কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়।’

নতুন এই তিন দল এখন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং নির্ধারিত প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা কলি’ প্রতীক পাওয়ায় তারা রাজনৈতিক কার্যক্রমকে আরও দৃঢ়ভাবে শুরু করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে, নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলাকালীন কমিশন বিভিন্ন দফায় মাঠ পর্যায়ের তদন্ত সম্পন্ন করেছে। এতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও স্থানীয় কমিটির কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, সদস্য ও ভোটার সমর্থনের তথ্য এবং পূর্ববর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যাচাই করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতীক বরাদ্দের আগে দাবি-আপত্তি ও সংশোধনের সুযোগও রাখা হয়েছে।

এনসিপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং আম জনগণ পার্টির জন্য এই প্রতীক বরাদ্দ নতুন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।