গতকাল (৩ নভেম্বর) সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন সিলেট বিভাগের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। আজ (৪ নভেম্বর) সকালে ব্যাট হাতে নেমে পেলেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি।
তবে এদিন মুশফিকের উদযাপন ছিল চোখে পড়ার মতো। বোলার এনামুল হকের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলে হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। আগুনে দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়েও থাকেন প্রতিপক্ষ বোলারদের দিকে। এর আগেও মুশফিককে এমন খ্যাপাটে উদযাপন করতে দেখা গেছে; এবার জাতীয় লিগের মঞ্চেও সেটির পুনরাবৃত্তি হলো।
আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলবেন মুশফিক। সেই বড় ম্যাচের আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগেই (এনসিএল) দুর্দান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এর আগে গতকাল দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল সিলেট। ৩ উইকেট হাতে রেখে ঢাকা বিভাগের থেকে পিছিয়ে ছিল ৫০ রানে। প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ঢাকা বিভাগ করেছিল ৩১০ রান। আজ সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে খেলতে নেমেই চাপে পড়ে সিলেট। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন এবাদত হোসেন। পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন দশে নামা খালেদ আহমেদ।
মুশফিক তখনও ৯৬ রানে অপরাজিত, অন্য প্রান্তে শেষ ব্যাটার। তবে সময় নষ্ট করেননি। এনামুলের করা ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্কুপ শটে চার মেরে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। আগের দিন এনামুলের বাউন্সারে মুশফিকের হেলমেটে আঘাত লেগেছিল—সমালোচকরা বলছেন, হয়তো সেই চ্যালেঞ্জের জবাবেই এমন খ্যাপাটে উদযাপন!
শেষ পর্যন্ত ২০৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৫ রানে আউট হন মুশফিক। তার বিদায়ের সঙ্গে সিলেটের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৯০ রানে। ফলে ঢাকার প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে ২০ রানের লিড পায় ঢাকা বিভাগ।

