আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবে সৌদি আরবের আল-হিলাল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন, জাপানের উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান এইচডি।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রত্যাশার ভার বহন করছে আল-হিলাল, যাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক ইন্টার মিলান কোচ সিমোন ইনজাঘি।
সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগে শক্তিশালী দল গড়েছে আল-হিলাল। দলে রয়েছেন রুবেন নেভেস, জোয়াও ক্যানসেলো, আলেকসান্দার মিত্রোভিচ ও সার্গেই মিলিনকোভিচ-সাভিচের মতো তারকারা।
তাদের সঙ্গে আছেন সৌদি অধিনায়ক সালেম আল-দাওসারি।
তবে মে মাসে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করায় ছাঁটাই হন কোচ জর্জ জেসুস। নতুন দায়িত্ব পাওয়া ইনজাঘির লক্ষ্য এবার ক্লাব বিশ্বকাপে ভালো ফল এনে দেওয়া।
গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, পাচুকা ও রেড বুল সালজবার্গ।
অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী আল-আইন গেল ১৩ মাস ধরে বাজে সময় কাটাচ্ছে। কোচ হের্নান ক্রেসপোর পর বদলেছেন আরও দুই কোচ। এখন দায়িত্বে আছেন সার্বিয়ার ভ্লাদিমির ইভিচ।
গোলমুখে নির্ভর করতে হচ্ছে গত মৌসুমের ইউএই প্রো লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা কোদজো লাবা ও মরক্কোর উইঙ্গার সফিয়ানে রহিমির ওপর। তাদের গ্রুপে আছে ম্যানচেস্টার সিটি, জুভেন্টাস ও উইদাদ।
জাপানি ক্লাব উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস ঘরোয়া লিগে ভালো ফর্মে রয়েছে। কোচ ম্যাসেই স্কোরজা ক্লাবকে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী করে জাপান লিগ জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিচ্ছেন।
দলে ফিরেছেন জার্মানি ফেরত অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার গেনকি হারাগুচি, সঙ্গে আছেন টাকাহিরো সেকিনে।
তৃতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতায় খেলবে দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান এইচডি। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স কিছুটা ওঠানামা করলেও এশিয়ান প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকতা তাদের এখানে এনেছে। সাবেক কোচ হং মিয়ুং-বোর অধীনে ২০২১ ও ২০২৩ সালে তারা পৌঁছেছিল সেমিফাইনালে।
ক্লাব বিশ্বকাপে এই চার এশিয়ান ক্লাবের অংশগ্রহণ মহাদেশীয় ফুটবলের জন্য বড় সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ উভয়ই। তবে সবার দৃষ্টি এখন ইনজাঘির আল-হিলালের দিকেই, যারা এশিয়ার মুখ হয়ে বিশ্বমঞ্চে সম্মান রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছে।