ঢাকা রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

আগামীকাল মেসির মিয়ামির খেলা দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৫, ০৮:২৮ এএম
হার্ড রক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি বনাম আল আহলি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এ আসর। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ‘ফুটবলের মহাবিস্ফোরণ’ হিসেবে যাকে অভিহিত করেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, সেই ক্লাব বিশ্বকাপের সম্প্রসারিত সংস্করণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে এক অদ্ভুত উৎসব। যেটা আসলে কতটা বাস্তব, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন। 

বিশ্বের সব ক্লাবের অংশগ্রহণ থাকলেও টুর্নামেন্টটি যেন এক ‘প্রায় বিশ্বকাপ’, এবং ‘প্রায় বাস্তব’ ইভেন্ট—যেটা আমেরিকার হইচই-ভরা সংস্কৃতিতে খানিকটা দেয়ালঘেঁষা আওয়াজ মাত্র।

আগামীকাল রোববার মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি বনাম আল আহলি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এ আসর। 

অথচ আয়োজক শহরের মানুষদের বড় অংশ এখনো জানেই না, ‘ক্লাব বিশ্ব-কি?। 

একদিকে মাত্র ৪ ডলারে টিকিট বিক্রি, অন্যদিকে মেসির অনুপস্থিতিতে অনুশীলন সব মিলিয়ে যেন ফুটবলের নামে এক কর্পোরেট চমক।

এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ইনফান্তিনোর ভাষণও যেন এক অভিনয়মঞ্চের নাটক। আসরে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়তো মেসি ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো দল, যারা খেলবে মার্কিন শহরগুলোতে। 

তবুও ফুটবলপ্রেমীদের জিজ্ঞাসা ‘আসল খেলা কোথায়?’।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রতি আমেরিকান ভক্তদের আগ্রহ থাকলেও, পুরো আয়োজন ঘিরে যেন একটা ফাঁকা আমেজ। 

বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত ফিফার একক উদ্যোগে তৈরি ‘গড-লিগ’—যেটা নিয়মতান্ত্রিক ফুটবল কাঠামোর বাইরেই চলে গেছে। ফিফার প্রেসিডেন্ট একজন ‘নিরপেক্ষ রেগুলেটর’ হওয়ার বদলে হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতা ও কর্পোরেট লবির বন্ধু।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হবে বিক্ষোভ, যার মূল স্লোগান ‘নো কিংস’। মজার ব্যাপার, একইদিনে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের জন্মদিনে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ। 

আর মায়ামির স্টেডিয়ামে চলবে ফুটবল নামের এই অলীক আয়োজন।

ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, এটা শুধু খেলার টুর্নামেন্ট নয়—এটা ক্ষমতা, পুঁজিবাদ ও রাজনৈতিক প্রদর্শনের এক মঞ্চ।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে, যেখানে এক প্যাকেট চিপস কিনতেও বিশাল ঝুঁকি, সেখানে ৬৩ ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট কতটা সত্যিকারের ‘মহাযজ্ঞ’ হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।