হার্ড রক স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস গড়ল ইন্টার মিয়ামি সিএফ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো এমএলএস (মেজর লিগ সকার) ক্লাব টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে উঠল।
আজ মঙ্গলবার ব্রাজিলের শক্তিশালী ক্লাব পালমেইরাসের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র করেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে তারা।
এই ড্রয়ের ফলে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ৫ পয়েন্ট (১ জয়, ২ ড্র) নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করল ইন্টার মিয়ামি।
আগামী ২৯ জুন (রোববার) আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে গ্রুপ এ’র মিয়ামি গ্রুপ বি জয়ী প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)-এর বিপক্ষে রাউন্ড অব ১৬ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।
এদিন ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তাদেও আলেন্দে। একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে এগিয়ে দেন দলকে।
এরপর ৬৫তম মিনিটে দর্শক মাতানো গোল করেন উরুগুইয়ান কিংবদন্তি স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত এক শটে বল পাঠান জালে।
তবে শেষদিকে ঘুরে দাঁড়ায় পালমেইরাস। ৮০ মিনিটে পালিনহো এবং ৮৭ মিনিটে মৌরিসিওর গোলেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
এর ফলে তারা গ্রুপ ‘এ’-এর শীর্ষস্থান ধরে রাখে।
অপরদিকে এখন পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফর্ম করছে ইন্টার মিয়ামি। আল আহলি, এফসি পোর্তো এবং পালমেইরাসের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নকআউটে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির বিপক্ষে সামনে বিশাল পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। তবে ইতোমধ্যেই এই টুর্নামেন্টে প্রথম এমএলএস ক্লাব হিসেবে জয়।
এবং প্রথম কোনোকোন কনকাকাফ ক্লাব হিসেবে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে অফিসিয়াল ম্যাচে জয় এই দুই ইতিহাস গড়েছে মিয়ামি।
আজকের খেলায় ম্যাচসেরা
আজ ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান ইন্টার মিয়ামির লুইস সুয়ারেজ। ৩৮ বছর বয়সি সুয়ারেজ দেখিয়েছেন কেন তিনি এখনো সেরা স্ট্রাইকারদের একজন।
দারুণ এক গোলের পাশাপাশি প্রথম গোলের অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি (১ গোল, ১ অ্যাসিস্ট)।