নেপালের বিপক্ষে শুরু থেকেই দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। ৭৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েও ছিল স্বাগতিকরা। তবে পরের ১০ মিনিটে হঠাৎ সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ২ গোল হজম করে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচ ড্রয়ের শঙ্কা তৈরি হয়। তবে অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে গোল তৃষ্ণা মিটিয়ে রানী সরকারের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ প্রতিযোগিতায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
ম্যাচের ১৩ মিনিঝমাটে মাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল দখলে নেন সাগরিকা। বাম প্রান্ত দিয়ে ওই বল নিয়ে এগিয়ে যান পোস্টের সামনে, সেখানে বল বাড়ান মুন্সির কাছে। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে মুন্সি শট নেন গোলে। তবে বল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে গতি হারিয়ে গোল লাইনে গিয়ে ঠেকে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার গোল লাইন ক্লিয়ারেন্সের চেষ্টা করলেও বল চলে যায় অন্য প্রান্তে থাকা সিনহা শেখের কাছে। ফাঁকা জালে বল জড়াতে ভুল করেননি সিনহা।
৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির ক্রস শিখার শট নেপালের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফেরত আসলে সেই বল জালে পাঠান সাগরিকা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২ গোল করলেও আরও গোল করার সুযোগ ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বেশ ঘটনাবহুল। ৫৪ মিনিটে হাতাহাতিতে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের সাগরিকা এবং নেপালের এক ডিফেন্ডার। সাগরিকা মাঠ ছাড়ার পর বাংলাদেশ একটু পিছিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার খেলোয়াড় ও কৌশল বদল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলেও পারেননি। নেপাল বাংলাদেশকে দশ জন নিয়েই চাপে ফেলে। ৭৫ মিনিটে নেপাল পেনাল্টি পায়। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় ফেরে হিমালয়ের দেশটি।
৮৬ মিনিটে এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে নেপাল সমতা আনে। ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণা রাণীর দারুণ ফিনিশিং গোলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :