ধারাবাহিক উন্নতির পথে দুর্দান্ত এক অগ্রযাত্রায় আছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বয়সভিত্তিক সাফল্য দিয়ে শুরু, এখন জাতীয় দলও ছুঁয়ে ফেলছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড। প্রথমবারের মতো দলটি কোয়ালিফাই করেছে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে। আর সেই অর্জনই নজর কেড়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ফিফা তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের প্রশংসা করে একটি পোস্ট শেয়ার করে। সেখানে তারা কয়েকটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরে বাংলাদেশের র্যাংকিং উন্নয়ন, সাম্প্রতিক সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা।
প্রথম কার্ডে ফিফা জানায়, প্রথমটিতে বাংলাদেশের র্যাংকিংয়ের গ্রাফ দেখিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে লিখেছে, বাংলাদেশ ফিফা নারী র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জনকারী দল।
দ্বিতীয় ফটোকার্ডে ফিফা লিখেছে, ২০২৩ সালের আগস্টে ফিফা নারী বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২তম। কিন্তু ২০২৬ সালের এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার পর তারা উঠে এসেছে বিশ্বের ১০৪ নম্বরে।
তৃতীয় কার্ডে বলা হয়, বাংলাদেশের নারী দল আগে কখনও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে জিততে পারেনি। কিন্তু এবার তারা অপরাজিত থেকে ইতিহাস গড়েছে। যদি মূলপর্বে শীর্ষ ছয়ে থাকতে পারে, তবে আগামী ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ভালো করার পেছনের কারণও জানিয়েছে ফিফা। চতুর্থ কার্ডে সংস্থাটি সেটি জানিয়ে লিখেছে, এই দ্রুত অগ্রগতির পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল কৌশলগত পরিকল্পনা ‘এম্পাওয়ার হার: ২০২৪-২০২৭’ এবং ফিফার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে পাওয়া ধারাবাহিক সহায়তা।
সাফে বাংলাদেশের শিরোপাজয়ের বিষয়টিও তুলে ধরেছে ফিফা। সেটি উল্লেখ করে সংস্থাটি লিখেছে, পরপর দুইবার দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাধ্যমে দলটির আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। এই টুর্নামেন্ট ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থায়নে উপকৃত হয়েছে।
সবশেষে ফিফা তুলে ধরে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘ফিফার নারী ফুটবলবিষয়ক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। ফলে দর্শক ও ভক্তসংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।’
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে নারী ফুটবলারদের সামনে এগিয়ে যেতে আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আপনার মতামত লিখুন :