কিংবদন্তি দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার প্রয়াণের পঞ্চম বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার। আর এই বিশেষ দিনটিতে নাপোলি পরিণত হয়েছিল এক আবেগঘন তীর্থস্থানে। ক্লাব ও সমর্থকেরা চ্যাম্পিয়নস লিগে কারাবাখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই তাদের ইতিহাসের মহানায়ককে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত করলেন।
ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামের বিশাল পর্দায় ভেসে ওঠে ম্যারাডোনার বর্ণিল ফুটবল জীবনের দুর্লভ সব মুহূর্তের ভিডিও। স্টেডিয়াম ঘোষকের কণ্ঠস্বর যখন ঘোষণা করে, নাপোলি আজ আপনাকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে চায়।
পাঁচ বছর আগে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার, মুহূর্তেই পুরো স্টেডিয়াম একসঙ্গে গর্জে ওঠে 'দিয়েগো, দিয়েগো!' ধ্বনিতে।
কিন্তু শ্রদ্ধার মূল স্ফূলিঙ্গটি দেখা যায় ম্যাচের ঠিক দশম মিনিটে—যা ম্যারাডোনার বিখ্যাত জার্সি নম্বর। গ্যালারির হাজারো সমর্থক একই সঙ্গে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান এবং অবিরাম ধ্বনি তুলে বলেন, "=একটাই ম্যারাডোনা।
দর্শকদের হাতে থাকা নীল-সাদা পতাকা, স্কার্ফ এবং ম্যারাডোনার নামাঙ্কিত জার্সিগুলো একই ছন্দে আন্দোলিত হতে থাকে, প্রিয় তারকার প্রতি তাদের গভীর নিবেদন যেন সময়ের বাঁধন পেরিয়ে সেদিনও জীবন্ত হয়ে ওঠে।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফুটবল ইতিহাসের এই জাদুকর। তার মৃত্যুর পরই নাপোলি ক্লাব তাদের হোম গ্রাউন্ডের নাম বদলে রাখে 'স্টাদিও দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা'। এই স্টেডিয়ামেই প্রতি বছর ভক্তদের হৃদয়ে নবজীবন লাভ করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
ম্যারাডোনা কেবল একজন খেলোয়াড় ছিলেন না; তিনি নাপোলির আত্মপরিচয়। তার জাদুকরী নেতৃত্বেই ক্লাবটি তাদের প্রথম দুটি সেরি আ শিরোপা (১৯৮৭ ও ১৯৯০ সালে) অর্জন করেছিল। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দেওয়া এই ফুটবল জাদুকর আজও নাপোলির হৃদয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন