কান্নায় ভেঙে পড়া কণ্ঠে বলছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাব্যের মা—‘স্কুল থেকে আমার মেয়ে আমাকে ফোন দিয়েছে। আমার মেয়েকে পেয়েছি, কিন্তু ছেলেটাকে এখনও পাইনি। আমার জমজ দুইটা সন্তান, আর কেউ নেই আমাদের।’
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কাব্যের মা বলেন, ‘বিমান পড়ার পর আমি পুরো স্কুল ঘুরে ঘুরে খুঁজেছি, ছেলেকে কোথাও পাইনি। কেউ কিছু বলতে পারছে না। পরে একটা আননোন নম্বর থেকে ফোন আসে, বলে—আমার ছেলেকে মুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। পরে জানায়, ওখানেও রাখা হয়নি। আমি জানি না আমার ছেলে এখন কোথায়...’।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানটি ছিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান, যা দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুসহ বেশিরভাগই মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।
আপনার মতামত লিখুন :