রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
এ ছাড়াও নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। তাৎক্ষণিক হতাহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের ‘হায়দার হল’-এ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে মুহূর্তেই ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দুপুর আড়াইটার পর থেকে আহতদের দলে দলে হাসপাতালে আনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৫০ জনের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি।’
দগ্ধদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তানভীর আহমেদ এবং তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদের পরিচয় জানা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে, ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন।
আহত চারজনকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে।
আইএসপিআর-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি ছিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের অংশ। দুর্ঘটনার কারণ জানতে এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতায় নামে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির বিশেষ ইউনিট। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরপরই স্কুল ভবনের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। ভবনের নিচতলার পাশ থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। আতঙ্কিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ছুটে আসেন ক্যাম্পাসে।
এ দুর্ঘটনায় উত্তরা জোনের সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আহতদের জন্য রক্ত সংগ্রহ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে একাধিক মেডিকেল টিম।
আপনার মতামত লিখুন :