উদীয়মান টেনিস খেলোয়াড় সোনায় কার্তাল উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা জয় তুলে নিয়েছেন।
সোমবার প্রথম রাউন্ডেই ২০ নম্বর বাছাই ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইয়েলেনা ওস্তাপেঙ্কোকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকা।
স্বেল্টারিং গরমে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কার্তাল ৭-৫, ২-৬, ৬-২ সেটে ওস্তাপেঙ্কোকে হারিয়ে দেন। এতে করে ১৪ জনের ব্রিটিশ কনটিনজেন্টের মধ্যে প্রথম বিজয়ী হিসেবে নাম লেখান তিনি।
গত বছর ওয়াইল্ডকার্ড হিসেবে উইম্বলডনে অংশ নিয়েছিলেন কার্তাল, তখন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ছিল ২৮১। তবে এ বছর তিনি ফিরেছেন প্রায় ২৩০ স্থান উপরে উঠে, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও পরিণত চেহারায়।
এবারের এই জয় তার টপ-২০ র্যাঙ্কড প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চলতি বছরের তৃতীয় জয়।
ম্যাচ শেষে কার্তাল বলেন, ‘এটা আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন ম্যাচগুলোর একটি।আমি জানতাম, বড় হিটারদের বিরুদ্ধে আমি পিছিয়ে পড়ি। তাই ইচ্ছে করেই কঠিন ম্যাচে নিজেকে নামিয়ে এনেছি, যাতে চাপ নিতে শিখি। আজকের জয় তারই ফল।’
প্রথম সেটে ২-৫ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরপর পাঁচ গেম জিতে সেটটি নিজের করে নেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটে কিছুটা ছন্দ হারালেও তৃতীয় সেটে আবারও জ্বলে ওঠেন, দ্বিগুণ ব্রেক নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন।
ওস্তাপেঙ্কোর জন্য দিনটি ছিল হতাশার। ম্যাচ চলাকালে একাধিকবার নিজেকে দোষারোপ করেছেন, কোচদের উদ্দেশে চিৎকার করেছেন, এমনকি দর্শকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে উল্টো ক্ষোভও ঝাড়েন।
কিন্তু এসবকিছুর মধ্যেও সোনায় কার্তাল ছিলেন একেবারে স্থির। তার নিখুঁত ফুটওয়ার্ক, নেটপোস্ট ঘেঁষা রিপিং ফোরহ্যান্ড এবং চাপের মুহূর্তে দারুণ কুলনেস তাকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়।
এ জয়ের ফলে কার্তাল দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছালেন, যা তার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার। এর আগেও তিনি গত বছর উইম্বলডনে তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত উঠেছিলেন।
এদিকে, উইম্বলডনে এবার ২৩ জন ব্রিটিশ খেলোয়াড় পুরুষ ও নারীদের এককে অংশ নিচ্ছেন, যা ১৯৮৪ সালের পর সর্বোচ্চ।