ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

ভুল বোঝাবুঝি থেকে বুমরাহ-সঞ্জনার প্রেম

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
প্রথম দেখা থেকে শুরু করে আজকের সুখী সংসার বুমরাহ ও সঞ্জনার। ছবি- সংগৃহীত

ক্রিকেট মাঠের বাইরেও ভারতীয় ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমরাহ ও ক্রীড়া সাংবাদিক সঞ্জনা গণেশনের প্রেমকাহিনি কম আকর্ষণীয় নয়। প্রায় প্রতিটি সফল প্রেমের গল্পের শুরুটা যেমন তিক্ততা দিয়ে হয়, তাঁদের গল্পটাও এর ব্যতিক্রম নয়।

২০১৯ সালের প্রথম দেখা থেকে শুরু করে আজকের সুখী সংসার, বুমরাহ এবং সঞ্জনার পথচলা অনেক ভুল বোঝাবুঝি, হাস্যরস ও ভালোবাসায় ভরা।

প্রথম দেখায় ভুল বোঝাবুঝি

হরভজন সিং ও তার স্ত্রী গীতা বসরার ‘হুজ দ্য বস’ অনুষ্ঠানে নিজেদের সম্পর্কের প্রথম দিকের কথা বলতে গিয়ে দুজনেই একে অপরের প্রতি তাদের প্রাথমিক ধারণাগুলো তুলে ধরেছেন।

সঞ্জনা জানান, ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় ভারতের অনুশীলনে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। সঞ্জনা যখন অন্যদের সঙ্গে মিশে হাত নাড়ছিলেন, তখন বুমরাহ কঠিন মুখ করে অনুশীলন করছিলেন এবং সঞ্জনার দিকে তাকাতেও চাননি।

সঞ্জনার মনে হয়েছিল, বুমরাহ বুঝি ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, হয়তো তার কোনো বান্ধবী বা স্ত্রী আছেন। এ কারণে সঞ্জনা তার সঙ্গে কথা বলতে দ্বিধা করছিলেন। তার মনে হয়েছিল, জসপ্রীতের ব্যক্তিত্ব হয়তো এমন যে, তিনি সহজে কারো সঙ্গে মিশতে চান না।

অন্যদিকে বুমরাহ হাসতে হাসতে সঞ্জনার একতরফা গল্পকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘সঞ্জনা নাকি তাকে বিবাহিত ভেবেছিলেন! আমি স্বভাবতই খুব লাজুক এবং সহজে কাউকে ‘হাই’ বলতে পারি না।’

বুমরাহ জানান, মানুষের সঙ্গে মিশতে তার সময় লাগে। সঞ্জনার এ ধারণা যে তিনি ‘হাই’ না বলায় বিবাহিত মনে হয়েছে, তা বুমরাহর কাছে বেশ হাস্যকর ঠেকেছিল।

‘তিক্ততা’ থেকে ভালোবাসার শুরু

প্রথম দেখায় ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও পরিস্থিতি পাল্টে যায়, যখন তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। সঞ্জনা বলেন, কথা বলতে শুরু করার পর তারা একে অপরকে বুঝতে শুরু করেন এবং তার আগের সব ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।

বুমরাহর লাজুক স্বভাবের আড়ালে যে একজন সহজ-সরল মানুষ লুকিয়ে আছেন, তা ধীরে ধীরে সঞ্জনার কাছে স্পষ্ট হয়। প্রেম বোধহয় যুক্তিতর্ক মানে না, আর বুমরাহ-সঞ্জনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।

সেই বিরূপ ধারণাগুলো কেটে গিয়ে কথা বাড়তে থাকে, যা একসময় গভীর প্রেমে পরিণত হয়।

২০১৯ সালের প্রথম দেখার পর থেকে ছয় বছর কেটে গেছে। বুমরাহ এবং সঞ্জনার প্রেম পরিণত হয়েছে এক সুখী দাম্পত্য জীবনে। তাদের ঘরে এখন একটি ফুটফুটে ছেলেও আছে।