সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে ৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি পাকিস্তানের 

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে ৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি পাকিস্তানের 

ছবি- সংগৃহীত

মাত্র ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের ভয়াবহ সংঘর্ষ। যার পরিণতিতে পাকিস্তান হারিয়েছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হঠাৎ করে শুরু হওয়া বহুমাত্রিক ও প্রযুক্তিনির্ভর এই যুদ্ধে সামরিক রণনীতি ছাড়িয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতিতে।

বুধবার (৭ মে) রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতের বিমানবাহিনীর আকস্মিক আক্রমণ ‘অপারেশন সিঁদুর’ দিয়ে যুদ্ধের সূচনা হয়। রাফায়েল যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ও হ্যামার বোমায় লক্ষ্য করা হয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি বেসামরিক এলাকা। এর বিপরিতে পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’।

একই সঙ্গে ভারত পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই করে ড্রোন দিয়ে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও আকাশে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। জে-১০সি যুদ্ধবিমান, কোরাল ইলেকট্রনিক জ্যামার এবং শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে।

তবে সামরিক প্রতিরোধের পাশাপাশি যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

  • ২.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে করাচি শেয়ারবাজারে সূচক পতনের মাধ্যমে
  • ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) বন্ধ থাকায়
  • ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে
  • ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে
  • প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ডলার হারে সামরিক ব্যয়ের খরচ

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যে, এই যুদ্ধ ছিল বিশ্বের প্রথম প্রকৃত ‘ড্রোন যুদ্ধ’, যেখানে সামরিক শক্তির পাশাপাশি ব্যবহার হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি, সাইবার কৌশল এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপ। অর্থনীতি ও বাজারে এর প্রভাব ছিল দ্রুত ও ধ্বংসাত্মক।

যুদ্ধ দেখিয়েছে, আধুনিক সংঘর্ষ মানেই শুধু যুদ্ধবিমান বা ট্যাংকের লড়াই নয়- এখন যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারিত হয় শেয়ারবাজারের ধস, বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো ও সাধারণ জনগণের আর্থিক দুর্দশায়।

৮৭ ঘণ্টার এই সংঘর্ষ প্রমাণ করে দিয়েছে- প্রতিরোধই এখন প্রকৃত কৌশল এবং ক্ষতির পরিমাণ শুধু সামরিক নয়, বরং প্রতিটি অর্থনৈতিক খাতে তা অনুভূত হয় ঘণ্টায় ঘণ্টায়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!