বিশ্বের সবচেয়ে বড় উভচর বিমান তৈরির ঘোষণা দিয়েছে চীন। বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে এজি৬০০। এটি ১২ টন পানি একসঙ্গে বহন করতে পারে।
এই বিমানটি শুধু আকাশেই উড়তে পারে না, প্রয়োজন হলে জলেও অবতরণ করতে পারে। অর্থাৎ এটি উভচর।
কোন কাজে ব্যবহার হবে বিমানটি?
এই বিমান ব্যবহার করা হবে:
# অগ্নিনির্বাপণে
# বন রক্ষা কার্যক্রমে
# বিপর্যয়কালীন উদ্ধার কাজে
# বিপজ্জনক পরিবেশে নজরদারিতে
কঠিন পরীক্ষায় পাস করেছে এজি৬০০
সম্প্রতি উত্তর চীনের জিলিনহট এলাকায় বিমানটি একটি কঠিন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ পরীক্ষায় বিমানটিকে পার্শ্বীয় ঝোড়ো বাতাসে উড়তে এবং নিরাপদে নামতে হয়। চীনের বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা জানায়, বিমানটি সফলভাবে পরীক্ষা শেষ করেছে।
বিমান চলাচলের সময় পার্শ্বীয় বাতাস একটি সাধারণ সমস্যা। এতে উড্ডয়ন ও অবতরণ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তবে এজি৬০০ প্রমাণ করেছে, এমন আবহাওয়ায়ও এটি নিরাপদে চলতে পারে।

সরকারের অনুমোদনও মিলেছে
চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে এজি৬০০ টাইপ সার্টিফিকেট পেয়েছে। এর মানে হলো, এখন বিমানটি বাজারে চালু করা ও ব্যবহার শুরু করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেল।
কোথায় তৈরি হলো ও এখন কোথায় যাচ্ছে?
এজি৬০০ পুরোপুরি চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। পরীক্ষা শেষে বিমানটি এখন উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলুংজিয়াং প্রদেশে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এটি একটি বন সংরক্ষণসংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক মিশনে অংশ নেবে।
এজি৬০০ নিয়ে বিশেষ তথ্য:
# এই বিমান প্রায় ৫০ জন আরোহী বহনে সক্ষম।
# এটি জলপথে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।
# এজি৬০০কে অনেকেই ‘উড়ন্ত দমকল’ নামেও ডাকছে।
চীনের এই এজি৬০০ বিমান শুধু প্রযুক্তির দিক থেকেই নয়, পরিবেশ রক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে।