গাজায় নতুন করে তীব্র হামলা পরিচালনার পর শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সচীব মার্কো রুবিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে আরেকটি ফোনালাপ করেন।
তিন দিনে দ্বিতীয় এই ফোনকলটি ‘হামাস পরাজয়’ লক্ষ্যে নতুন করে হামলার পর সংঘটিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি এবং বাকি সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতকরণে তাদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন রুবিও-নেতানিয়াহু।’
গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে নতুন আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল যার কারণে মানবাধিকার ত্রাণ সাহায্য আরও সীমিত হচ্ছে।
রুবিও শনিবার গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষে বলেন: ‘আমরা সংঘাতের অবসান ও যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করি।’
রুবিও বলেন, ‘আমরা চাই না যে মানুষ কষ্ট পাক এবং আমরা এর জন্য হামাসকে দোষারোপ করি, তবুও তারা কষ্ট পাচ্ছে।’
রোববার মার্কো রুবিও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে অবশিষ্ট জিম্মিদের বের করে আনা যায় কি না- তা নিয়ে চেষ্টা করছি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক দিন আগে আবুধাবিতে স্বীকার করেছিলেন যে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ‘অনেক মানুষ অনাহারে’ রয়েছে।
সরকারী পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি জানায়, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষের ১,২১৮ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক । হামলার সময় ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ৫৭ জন গাজায় রয়ে গেছেন, যার মধ্যে ৩৪ জন নিহত বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে । হামাস শাসিত এলাকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ১৮ মার্চ ইসরায়েলি আগ্রাসন পুনর্বাসনের পর থেকে ৩,১৩১ জন নিহত হয়েছেন যা মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩,২৭২ জনে নিয়ে দার করায়।
ব্রুস বলেন, মার্কো রুবিও রোম থেকে নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছিলেন নতুন পোপ রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট লিও’র নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে।
আপনার মতামত লিখুন :