ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভারতীয় বাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের দিকে এগিয়ে আসছিলেন এবং একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও থামেননি।
এরপর শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গুজরাটের বানাসকাঁঠা সীমান্তে গুলি চালানো হয়।
এ ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন দুই প্রতিবেশী ও পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বলবৎ রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ভারতীয় সেনা নিহত হন।
সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস জানায়, গোলাগুলিতে গুরুতর আহত ওই সেনাসদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কাশ্মীর ইস্যু বরাবরই ভারত-পাকিস্তান বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে। অঞ্চলটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই দ্বন্দ্বের উৎস। দুই দেশই কাশ্মীরের পুরো অঞ্চলটির ওপর মালিকানা দাবি করে।
সম্প্রতি পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই হিন্দু। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ৭ মে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সামরিক হামলা চালায়। এর জবাবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা চার দিন ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা, পাশাপাশি সীমান্তে গোলাবর্ষণ চলে।
এতে দুই দেশের ৭০ জনের বেশি নাগরিক ও সেনা সদস্য নিহত হন। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পর এটিই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ।
১০ মে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সহিংসতা এখনো থামেনি। সর্বশেষ বিএসএফের গুলিতে পাকিস্তানি নাগরিক নিহতের ঘটনায় নতুন করে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :