ঢাকা শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫

চীন থেকে গোপনে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপাদান আনছে ইরান

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

গোপনে বিপুল পরিমাণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। দেশটি চীন থেকে এমন উপাদান আমদানি করছে, যা দিয়ে অন্তত ৮০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি সম্ভব।

শুক্রবার (৬ জুন) টাইমস অব ইসরায়েল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে জানায়, ইরান তার সামরিক সক্ষমতা এবং আঞ্চলিক প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান চীন থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট অর্ডার করেছে, যা সলিড ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান। এই চালান আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইরানে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই তথ্য এমন সময়ে সামনে এলো যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা চলছে। তবে এক পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ব্যর্থতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালাবে না বলে হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে কয়েক মাস আগেই—সম্ভবত সেই সময় যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্চ মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন।

প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানের পিশগামান তেজারাত রাফি নোভিন কোম্পানি হংকং-ভিত্তিক লায়ন কমোডিটিস হোল্ডিংস লিমিটেডের কাছ থেকে এই উপাদান অর্ডার করেছে। তবে উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, এই রাসায়নিকের একটি অংশ ইয়েমেনের ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের কাছে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যারা সম্প্রতি ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তবে অধিকাংশ উপাদান ইরানেই থাকবে। কারণ দেশটি বর্তমানে ইসরায়েলের আগের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা পুনর্নির্মাণে ব্যস্ত।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, ইসরায়েলের ওই হামলায় অন্তত এক ডজন ‘প্ল্যানেটারি মিক্সার’ ধ্বংস হয়, যা ক্ষেপণাস্ত্রের রাসায়নিক উপাদান মেশানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।

অন্য এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পরপর হামলার পর ইরান এখন তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নতুনভাবে সক্রিয় করার চেষ্টায় রয়েছে।

এদিকে, অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেটের চালান সম্পর্কে জাতিসংঘে ইরানি প্রতিনিধি দলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানায়, তারা এমন চুক্তির বিষয়ে অবগত নয়। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, তারা সবসময় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে চলেছে।