‘হাউজফুল ৫’ সিনেমা একটাই, কিন্তু ক্লাইম্যাক্স দুইটা! বলিউডে এমন ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না। তবে এবার অক্ষয় কুমার-অভিষেক বচ্চনদের এই হাসির ঝড় সিনেমা সেই বিরল তালিকায় নাম লেখাল।
সিনেমার দুটি ভিন্ন ভার্সন - মানে, কারও হলে দেখা ‘শেষ’টা আরেকজনের হলের ‘শেষ’ নয়! আর এই ব্যতিক্রমিতার ঝাঁঝে দর্শক আর সমালোচকরা হেসে কুটিকুটি - কেউ আনন্দে, কেউ বিরক্তিতে!
প্রেক্ষাগৃহে বসে কেউ দেখে নিলেন কমেডির ছন্দে বাঁধা এক রগরগে ক্লাইম্যাক্স, আর কেউবা পেলেন একটু সফট, একটু সংবেদনশীল ফিনিশ। এই ‘ডাবল এন্ডিং’ নিয়ে বলিউডে মিশ্র সুর বাজছে।
পরিচালক তরুণ মনসুখানি বলেই দিয়েছেন - ‘এই যুগে সবাই চায় নতুন কিছু। আমরা সেটাই করেছি।’ একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটা সংঘর্ষ নয়, বরং দর্শকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।’
তবে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন - ‘এক সিনেমায় দুইটা শেষ মানে কি মাথা ঘোরানোর নতুন ফর্মুলা?’
কেউ কেউ বলছেন, ‘একটা শেষই যথেষ্ট ছিল, দুইটা দিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইল?’ যদিও অনেকে আবার এই ব্যাপারটাকেই বলছেন ‘বক্স অফিসের মাস্টারস্ট্রোক’।
একজন তো মন্তব্য করলেন - ‘এটা হলিউডকেও হার মানিয়ে দিয়েছে, সিনেমা দেখতে আবার দ্বিতীয়বার যেতে হচ্ছে!’
এদিকে যৌন রসিকতা আর কিছু সাহসী দৃশ্য নিয়েও বইছে আলোচনা। সেন্সর বোর্ড সিনেমার কিছু অংশে কাঁচি চালালেও দর্শকদের অভিযোগ - ‘জোকসগুলো পরিবার নিয়ে দেখার মতো নয়।’
আবার একদল দর্শক এটাকেই বলছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির ট্রেডমার্ক মজা - ‘অক্ষয় কুমার মানেই তো একটু ‘বড়দের হিউমার’, ও না থাকলে জমতই না।’
এই ‘ডাবল এন্ডিং’ আর ‘ডাবল মিনিং’-এর যুগলবন্দী নিয়ে ‘হাউজফুল ৫’ এখন রীতিমতো ট্রেন্ডিং। কেউ একবার দেখে উঠছেন, কেউ আবার দ্বিতীয়বার টিকিট কাটছেন - ‘এইবার দেখি শেষটা আলাদা হয় কিনা!’
মুক্তির পরপরই সিনেমাটি ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে, প্রথম দিনেই ২৫ কোটির ব্যবসা করে বাজিমাত করেছে এই মাল্টি-স্টারার কমেডি। তবু সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয়? সিনেমাটির দুটি আলাদা ক্লাইম্যাক্স!