পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইরান। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে মিসাইল হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিরা দাবি করেছে, তারা ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলআবিব অঞ্চলে সংবেদনশীল ইসরায়েলি শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইয়েমেন থেকে কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে আইডিএফ অবগত নয়। কেবল শুক্রবার হুতিদের দ্বারা ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিম তীরের একটি ফিলিস্তিনি শহরে আঘাত হানে। যার ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিরা বলেছে, ইসরায়েলের স্থাপনা ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য।
এর আগে, এক ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও অপরাপর মিলিশিয়ারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ঘনিষ্ঠভাবেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল যে বিমান ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছে, তার বেশির ভাগই এসেছে মার্কিন উৎস থেকে।
মার্কিন বিশ্লেষক রিচার্ড লে’বেরন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র না চাইলেও এই সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে।’
অপরদিকে, বিশেষ সূত্র বলছে, নতুন হামলায় পার্শ্ববর্তী দেশের যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে।
আইআরজিসি জানায়, তারা ইসরায়েলের বেশকিছু সামরিক ঘাঁটি, গুপ্তচর ভিত্তি এবং অস্ত্র কারখানায় সঠিক লক্ষ্যভেদে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।
স্যাটেলাইট ছবি ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, অনেক কৌশলগত স্থান সফলভাবে ধ্বংস হয়েছে, যদিও ইসরায়েল দাবি করে আঘাত ঠেকানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :