ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত জোড়া হামলায় দখলদার ইসরায়েলের সাত সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকেল।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রথমে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা খান ইউনিসে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এরপর আহত সেনাদের উদ্ধার করতে আসা আরেকটি সেনা দলকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।
হামলায় ইসরায়েলের সামরিক যান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এতে একটি সাঁজোয়া যান দগ্ধ হয়ে আগুন ধরে যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এখনো কিছু সেনা নিখোঁজ রয়েছে। আহত সেনাদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দ্রুত উদ্ধার করে তেলআবিবের তেল হাসোমের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের স্বজনদের আগেই অবহিত করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ছয় সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। সপ্তম সৈন্যের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। নিহত ৬ সেনাদের মধ্যে রয়েছেন;
১. লেফটেন্যান্ট মাতান শাই ইয়াশিনোভস্কি (২১), কফার ইয়োনা।
২. স্টাফ সার্জেন্ট রোনেল বেন-মোশে (২০), রেহোভট।
৩. স্টাফ সার্জেন্ট নিভ রাদিয়া (২০), এলিয়াখিন।
৪. সার্জেন্ট রোনেন শাপিরো (১৯), মাজকেরেত বাতিয়া।
৫. সার্জেন্ট শাহার মানোয়াভ (২১), অশ্কেলন।
৬. সার্জেন্ট মায়ান বারুচ পার্লস্টাইন (২০), এশহার।
গত কয়েকদিন ধরে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হামলার প্রবণতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো।
এদিকে, ইয়ার লাপিদের পাশাপাশি মধ্য-বামপন্থি ডেমোক্র্যাটস পার্টির নেতা ইয়ার গোলানও গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে ইরানের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি অনুসরণ করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
গোলান এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এখনই সময় এসেছে মিশন সম্পন্ন করার: সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়া, গাজায় যুদ্ধ শেষ করা এবং ইসরায়েলকে দুর্বল, বিভক্ত এবং দুর্বল করে তোলার হুমকি দেয় এমন অভ্যুত্থান চিরতরে বন্ধ করা’।
আপনার মতামত লিখুন :