স্বাধীন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসন অবসান ঘটাতে ‘বড় অগ্রগতি’ হচ্ছে বলে বিশ্বাস করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইরানের উপর মার্কিন হামলার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি গাজায় বড় অগ্রগতি হচ্ছে, আমার মনে হয় (ইরানের উপর) আমাদের এই আক্রমণের কারণে।’
ফাঁস হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তিতে সাহায্য করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা কিছুটা সাহায্য করেছে।’ তিনি আরও জানান, ‘আমরা এর আগেও গাজায় একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি গাজায় বড় ধরনের অগ্রগতি হচ্ছে। আমার ধারণা, এই হামলার কারণেই আমরা এমন পদক্ষেপ নিতে পেরেছি।’ এতে তিনি বোঝাতে চান, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মধ্যপ্রাচ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তারা আসলে জানে না কী হয়েছে।’ তিনি জানান, হামলায় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার ভাষায়, এটি ছিল ‘একটি ভয়ংকর বিধ্বংসী হামলা’ এবং এসব স্থাপনা ধ্বংসই তেহরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে ইরানের যে ‘রূপান্তর স্থাপনা’ দরকার ছিল, তা এখন আর নেই। তিনি আরও বলেন, ‘ঐ পাহাড়ের নিচে সবকিছু এখন ভেঙে পড়েছে,’ এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে গেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, ‘যে কোনো সৎ বিশ্লেষণ বলবে, এটিকে অন্য কিছু বলে চালানোর চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ তিনি ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে অবিশ্বস্ত বলে দাবি করেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, স্কাই নিউজ, টাইমস অব ইসরায়েল
আপনার মতামত লিখুন :