বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

‘ন্যাটোর বাবা ট্রাম্প’

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। ছবি- সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির কূটনৈতিক উত্তাপের মাঝেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ন্যাটোর সদ্যনিযুক্ত মহাসচিব মার্ক রুটে।

বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডের হেগে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে রুটে প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে আখ্যা দেন ‘ন্যাটোর বাবা’ হিসেবে, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাখ্যা পেয়েছে একদিকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার, অন্যদিকে কৌশলগত তোষামোদের দৃষ্টান্ত হিসেবে।

স্কাই নিউজের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পাদক ডেবোরা হেইনস যখন এই মন্তব্য নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া জানতে চান, তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, ‘তিনি (রুটে) আমাকে পছন্দ করেন, আমার মনে হয় তিনি আমাকে পছন্দ করেন। যদি না করতেন, আমি আপনাকে জানাতাম। আমি ফিরে আসতাম, এবং তাকে কঠোরভাবে আঘাত করতাম। খুব স্নেহশীল।’

এই প্রতিক্রিয়া হাস্যরসের ভেতরে লুকিয়ে থাকা এক কঠিন বার্তা বহন করে। ট্রাম্প ন্যাটো সদস্যদের কীভাবে দেখেন, তাদের কি তিনি নিজের সন্তান মনে করেন, জোর দিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তাদের একটু সাহায্যের দরকার’।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘একজন বলেছিলেন, আমরা ৩০ বছর ধরে এই জিনিসটা করতে পারছিলাম না। আপনি না আসা পর্যন্ত কিছুই ঘটেনি। আপনি যা করেছেন, তা অসাধারণ।’ এই বক্তব্যে ট্রাম্প আবারও ইঙ্গিত দেন, ন্যাটোর আর্থিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় একমাত্র কার্যকর নেতৃত্ব ছিল তার।

এদিকে, মার্কিন সমর্থন ছাড়া জোটের টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ট্রাম্প দায়সারা ভঙ্গিতে বলেন, ‘মার্ককে জিজ্ঞাসা করুন’। এরপরই তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলে যান, ‘মনে রাখবেন, আমেরিকা এখনও বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত দেশ।’

বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটো মহাসচিবের এই ‘বাবা’ মন্তব্য ট্রাম্পের মন জয় করার একটি সচেতন কৌশল, বিশেষ করে যখন তিনি আবারও হোয়াইট হাউসের পথে এগোচ্ছেন। একইসঙ্গে এটি ইঙ্গিত করে যে, ইউরোপীয় মিত্ররা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে চলতে আগ্রহী, এমনকি তার বিনিময়ে ব্যক্তিগত প্রশংসাও দিতে পিছপা হচ্ছে না।

Link copied!