ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার বাণিজ্যিক টানাপোড়েন ফের নতুন মোড় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে যদি কোনো দেশ চীনের অংশগ্রহণ ছাড়া সরবরাহ শৃঙ্খলা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে চীন।
বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফা ও বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির পরিপন্থি। এর ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন হুমকির মুখে পড়বে এবং বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চীন বলেছে, তারা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ ও বৈধ অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে বৈশ্বিক পণ্যবাজার, প্রযুক্তি খাত এবং বিনিয়োগের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসন আগেও বেশ কয়েকবার চীনের বিরুদ্ধে ‘অন্যায্য বাণিজ্যিক অনুশীলন’ চালানোর অভিযোগ তুলেছে এবং বেইজিংকে চাপ প্রয়োগে শুল্ক নীতি ব্যবহার করেছে। তবে চীন সেই চাপের জবাবে পাল্টা শুল্ক আরোপসহ বিভিন্ন কৌশলে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :