ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নারী-শিশুসহ ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে ভূখণ্ডটিতে নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আবারও গাজার বিভিন্ন অংশে বিমান হামলা চালিয়েছে। রোববার উপত্যকাটির জনবহুল বাজার ও একটি পানি সংগ্রহ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২৬ জনে পৌঁছেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুরা পানি আনতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, তখনই ওই স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।
এদিকে, গাজা উপত্যকাকে শিশুদের কবরস্থান ও অনাহারের উপত্যকায় পরিণত করেছে ইসরায়েল বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি।
সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে ফিলিপ লাজারিনি লিখেন, ইসরায়েল গাজায় একটি নিষ্ঠুর ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ তৈরি করেছে।
তিনি লিখেন, ‘গাজার মানুষ এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যেখানে তাদের সামনে বেছে নেওয়ার মতো মাত্র দুটি পথ রয়েছে। ক্ষুধায় মারা যাওয়া অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে চিকিৎসা সরঞ্জামও পৌঁছাতে পারছে না।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক রেডক্রস, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন সংস্থা সাহায্য পাঠাতে চাইলেও সীমান্ত বন্ধ থাকায় তারা সফল হচ্ছে না।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২৬ জনে পৌঁছেছে। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন।
আপনার মতামত লিখুন :