তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চলমান অনশনে সংহতি জানিয়ে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, তথ্য আপা প্রকল্পের আপার আজ ৫১ দিন ধরে আন্দোলন করছে, তাদের দাবি-দাওয়া আমরা সরকারকে জানিয়েছি, কিন্তু তারা কর্ণপাত করছে না। তথ্য আপারা রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের স্বীকার, এটি এখনই বন্ধ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার তার চুক্তির কথা ভুলে গিয়েছে, জনগণের সঙ্গে তারা চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে সরকারের সাথে জনগণের সরাসরি সম্পর্ক হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২ টায় তথ্য আপাদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানান তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য আপাদের রিটকারী আইনজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ দোলন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, এই প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে বর্ধিত করতে করতে এখন এসে বন্ধ করে দেওয়া যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। আমরা জানতে পেরেছি তথ্য আপা প্রকল্প বাতিল করে নতুন করে সাড়ে নয়শ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।তথ্য আপা প্রকল্পে লুটপাটের কিচ্ছা ফাঁস হওয়ার আশংকায় আমলারা প্রকল্পটি আর চালু রাখতে চাচ্ছে না।
এই প্রকল্পে পিডি ডিপিডি লুটপাট ঢাকতেই নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, নতুন প্রকল্প মানেই নতুনভাবে খাওয়া-দাওয়া। লুটপাটের মহাউৎসব করতেই আওয়ামী আমলারা তথ্য আপা প্রকল্পের পরিবর্তে নতুন প্রকল্পের উদ্যেগ নিচ্ছে, যা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। তাই, তথ্য আপা প্রকল্পের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিন এবং একইসাথে এটি চালু রাখার ব্যবস্থা করুন।
তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পে অনেকে আওয়ামী থেকে রিক্রুট এই অভিযোগে এটি চালু রাখতে চাচ্ছে না। উনার আরও জানিয়েছেন ২০০০ কর্মচারীর মধ্যে ৭০ জন আওয়ামী ব্যাকরাউন্ডের। এই ঠুনকো অভিযোগে একটি প্রকল্প বাদ দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত?
তাহলে আওয়ামী সরকারের সময়ে যারা ডিসি এসপি হয়েছে তাদেরকে বহিষ্কার করলেন না কেন? আওয়ামী আমলের সব নিয়োগ বাতিল করছেন না কেন?
এই তথ্য আপারা মফস্বল এরিয়ায় ঘুরে ঘুরে অনলাইনে ফরম পূরণ করা শেখায়, কিভাবে বয়স্ক ভাতা, নিবন্ধন করা শেখায়।
এই প্রকল্পে ২৫০০ করে গত কয়েক বছর ধরে বেতন কম দিয়ে আসছে, বিভিন্ন ভাতা থাকলেও তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এসব টাকা আমলাদের পকেটে গিয়েছে। প্রতিটি টাকা হিসেব করে এসব অসহায় তথ্য আপাদের ফেরত দেওয়াসহ এই প্রকল্পটি চালু রাখার দাবি জানান ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
তিনি বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আওয়ামী আমলে নেওয়া বলে এমন ঠুনকো অভিযোগে বাতিল করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। তথ্য আপাদের সঙ্গে আলোচনায় করে প্রকল্প চালু রেখে তাদেরকে কর্মস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
এ সময় এবি পার্টির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা,নারী নেত্রী রাশিদা আক্তার মিতু ও যুব নেত্রী ইশরাত জাহান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :