ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর ‘ইসরায়েলের’ হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও সাড়ে চার শতাধিক মানুষ।এর ফলে ইসরায়েলি হামলায় ভূখণ্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৫৯ হাজার ৫৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধকে “গণহত্যামূলক আক্রমণ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ট।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮৯টি লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং ৪৫৩ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে গাজার বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা ‘জিএইচএফ’ এর মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো ৬৮ জনের বেশি।গত ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েই ১ হাজার ৮৩ জন নিহত এবং ৭ হাজার ২৭৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আন্তর্জাতিক চাপে হামলা বন্ধ করতে, এ বছরের জানুয়ারিতে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি করে ‘ইসরায়েল’।চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপর থেকে আরও ৮ হাজার ৪৪৭ জন নিহত এবং ৩১ হাজার ৪৫৭ জন আহত হয়েছেন।
গেলো সপ্তাহে নতুন করে শুরু হয় যুদ্ধবিরতি আলোচনা। কাতারের রাজধানী দোহাতে হামাস যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দেয়।যেটি পর্যালোচনা করার তথ্য জানায় ইসরায়েল।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) যুদ্ধবিরতির জন্য যাওয়া আলোচনাকারী দলকে ফিরিয়ে এনেছে দখলদার ইসরায়েল।
হামাসের এক সূত্র জানায়, এবারের প্রস্তাবে একটি ধারা ছিলো এমন, যেখানে বলা হয়েছে, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে ৬০ দিনের। এ সময়ের মধ্যে দুই পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হতে পারলেও যুদ্ধ শুরু করা যাবে না।হামাসের নতুন প্রস্তাবকে যুদ্ধ বন্ধে ‘সবচেয়ে ইতিবাচক’ মাধ্যম হিসেবে দেখছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :