‘ইসরায়েলের’ সাথে সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। বুধবার (২৩ জুলাই) নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষাসচিব রাজেশ কুমার সিং এবং ইসরায়েলের উপ-সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির বারাম দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
দুই দেশ এমন সময় সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে, যখন ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল আরোপিত দুর্ভিক্ষের ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজায় ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অনেক আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞ গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
বিশ্বব্যাপী নিন্দা এবং ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান বাড়ার পরও, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাবে নয়াদিল্লি।গত বুধবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো প্রকাশিত বিবৃতিতে দিল্লি জানিয়েছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি ভারতের শূন্য সহনশীলতার নীতি পুনর্ব্যক্ত এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে (হামাসের তথাকথিত) সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’ এতে ‘ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ ইসরায়েল সমর্থন জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উপ-সেনাপ্রধানের এই সফর ‘ভারত-ইসরায়েল প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং উভয় পক্ষের কৌশলগত অংশীদারত্ব বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে।’
দিল্লির কমিশনার অশ্বিনী কুমার বলেছেন, ‘ইসরায়েল প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশ হওয়ায়, এই ধরনের ধারণা ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করপোরেশনের কার্যকারিতাকে আরও শক্তিশালী করবে।’ মেয়রের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন দিল্লির ভারতীয় কর্মীরা।
এই বৈঠকগুলো এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যার দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল সরকার বলেছিল, তারা ভারতের সঙ্গে একটি বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি (আইপিএ) চূড়ান্ত করছে। এর উদ্দেশ্য হলো- ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার সময়ে একে অপরের দেশে বিনিয়োগের ঝুঁকি মোকাবিলা করা।
আপনার মতামত লিখুন :