ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কৌশলি আক্রমণে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দখলদার ‘ইসরায়েলি’ সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। মার্কিন মিত্র ‘ইসরায়েল’ গাজার হামাসের ভূগর্ভস্থ টানেল, সুপরিকল্পিত রণকৌশল ও হালকা অস্ত্রের আক্রমণে প্রায় ধরাশায়ী। গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করতে গিয়ে যে ঘাম ছুটছে, এবার সে কথা অকপটেই স্বীকার করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্কটল্যান্ডে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে হামাসের সঙ্গে আলোচনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের মোকাবিলা করাও কঠিন হয়েছে পড়েছে। তারা শেষ ২০টি ঘটনার বিষয়ে ছাড় দিতে চাইছে না। তাদের ধারণা, যতক্ষণ সুরক্ষা থাকবে ততক্ষণ তা বজায় থাকবে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি এভাবে কাজ করে না।’
ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় শেষ ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিরোধিতা করেছে হামাস।
গত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র কাতার থেকে তাদের আলোচক দল প্রত্যাহার করে। বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাব ‘যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর ইচ্ছার অভাব’ প্রকাশ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
ট্রাম্প জানান, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য ৬০ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সহায়তা যেন প্রকৃত প্রয়োজনীয় মানুষের কাছে পৌঁছায়।
গত মে মাসে মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গাজায় সাহায্য বিতরণের দায়িত্ব নেয়, যেখানে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মানবিক কর্মকর্তারা জিএইচএফ-নেতৃত্বাধীন এই ব্যবস্থাকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, সীমিত সাহায্য সামরিক ঘেরাটোপে বিতরণ করা হচ্ছে, যেখানে শত শত ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি বিপদের মুখে অপেক্ষা করছে।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন নতুন খাদ্য কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করবে যেখানে মানুষ ‘কোনো সীমানা ছাড়াই’ প্রবেশ করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেড়া দেব না’, যুক্তরাজ্যও এই উদ্যোগে সমর্থন দেবে।
মার্কিন-সমর্থিত জিএইচএফ বেড়াঘেরা স্থানে সীমিত ত্রাণ সরবরাহ করে, যেখানে খাবার নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ের মধ্যে প্রায়ই সহিংসতা ও পিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও ত্রাণ সংগ্রহের সময় ‘ইসরায়েলি’ বাহিনী গুলি করে প্রায় সহস্রাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যার তথ্যও গণমাধ্যমে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :