শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

ইউক্রেনের ‘বাফার জোনে’ নিরাপত্তায় থাকতে পারে বাংলাদেশ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

সেনা সদস্যরা। ছবি- সংগৃহীত

সেনা সদস্যরা। ছবি- সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে যদি কোনো শান্তিচুক্তি হয়, তবে ইউক্রেনে একটি ‘বাফার জোন’ বা নিরাপত্তা অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, এই নিরাপত্তা অঞ্চলটি হবে একটি বৃহৎ বেসামরিক এলাকা, যা ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বাফার জোন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দেবে। তবে এতে ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন করা হবে না- এটি রাশিয়ার প্রতি সংবেদনশীলতা বিবেচনায় রেখে ঠিক করা হয়েছে। বরং, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মতো ন্যাটোবহির্ভূত দেশ থেকে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই বাফার জোনে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন, স্যাটেলাইট ও অন্যান্য গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দেবে এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে।

এ পরিকল্পনার আওতায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি ন্যাটোর ধারা ৫ অনুযায়ী নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় ন্যাটোবহির্ভূত সৈন্য মোতায়েনের চিন্তা করা হচ্ছে, এতে করে রাশিয়ার আপত্তির সম্ভাবনা কমে।

এনবিসি নিউজ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত অবসান দেখতে না পেয়ে হতাশ। যদিও গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আলোচিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তবুও রাশিয়ার শর্তে কোনো নমনীয়তা দেখা যায়নি। এখনো মস্কোর পক্ষ থেকে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহের ইঙ্গিত মেলেনি।

এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে প্রয়োজন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতাদের সম্মতি। এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ‘সুরক্ষা গ্যারান্টি এখনই কার্যকর হওয়া উচিত, কেবল যুদ্ধের পর নয়।’

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের জানান, ‘২৬টি দেশ ইউক্রেনের জন্য শান্তিরক্ষায় সেনা দিতে সম্মত হয়েছে।’ গত ২ সেপ্টেম্বর ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবও এই বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন।

Link copied!