যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে একটি গাড়ি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০০ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই ছিল কোনো কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অভিযান।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
অভিবাসন কর্মকর্তারা বলেছেন, অভিযানে প্রায় ৪৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ছিলেন বা কাজ করছিলেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০০ জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক।
প্রায় তিন হাজার একরজুড়ে বিস্তৃত কারখানাটি কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাইয়ের। ওই কারখানায় এক বছর ধরে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হচ্ছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ‘উদ্বেগ ও দুঃখ’ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে দেশটির নাগরিকদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিউল।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, অবৈধ কর্মসংস্থান ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে তল্লাশি পরোয়ানা হাতে পাওয়ার পর এ অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে। একদিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনশীল শিল্প খাত গড়ে তোলায় জোর দিচ্ছেন, অন্যদিকে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। পাশাপাশি এ ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে হুন্দাই মোটর কোম্পানি বলেছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কেউই সরাসরি হুন্দাইয়ের কর্মী নন বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
