কাতারের দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যাচেষ্টায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শীর্ষ নেতারা অক্ষত থাকলেও প্রাণ হারিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে ও এক ঘনিষ্ঠ সহকারী।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করছিলেন খলিল আল-হাইয়া এবং হামাসের অন্যান্য নেতারা। ওই বৈঠক লক্ষ্য করে চালানো হামলা ব্যর্থ হয়েছে।
তবে এ হামলায় খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম ও তার এক শীর্ষ সহকারী প্রাণ হারান। এছাড়া আল-হাইয়ার তিন দেহরক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
সুহাইল আল-হিন্দি আরও জানান, যেকোনো প্রাণহানি হামাসের জন্য বেদনাদায়ক। তার ভাষায়, ‘আন্দোলনের নেতৃত্বের রক্ত আর যেকোনো ফিলিস্তিনি শিশুর রক্ত সমান মূল্যবান।’
ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে তাদের মধ্যে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়াও রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হামলার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।’
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এই হামলাকে ‘অপরাধমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। কাতার এই বেপরোয়া ‘ইসরায়েলি’ আচরণ মেনে নেবে না।
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর ‘ইসরায়েলি’ সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযানে তারা হামাসের ‘জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব’কে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যদিও বিবৃতিতে কোথায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে এটি গাজার বাইরে ঘটেছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বছরের পর বছর ধরে হামাস নেতৃত্বের এই সদস্যরা সন্ত্রাসী সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা সরাসরি ৭ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী এবং ‘ইসরায়েল’-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন খলিল আল-হাইয়া।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন