রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

আল জাজিরার বিশ্লেষণ

ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট কি তুরস্ক?

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা, লেবানন, ইরান, ইয়েমেনে ধারাবাহিকভাবে হামলার পর সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় উদ্বেগ বেড়েছে আঙ্কারায় । তেলআবিবের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে এখন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তুরস্কও। এ নিয়ে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন বলেন, তুরস্ক হতে পারে দখলদার ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য। ন্যাটো সদস্যপদও তুরস্ককে রক্ষা করতে পারবে না বলে মন্তব্য রুবিনের।

এদিকে ইসরায়েলি অ্যাকাডেমিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেইর মাসরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, আজ কাতার, কাল তুরস্ক। জবাবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের একজন উপদেষ্টা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ইসরাইল যদি তুরস্কের ওপর হামলার চিন্তা করে, তাহলে দেশটির জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।

বিগত কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো তুরস্ককে ‘ইসরাইলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’হিসেবে চিত্রিত করে আসছে। বিশেষ করে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের উপস্থিতি ও যুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়ায় দেশটির পুনর্গঠনে ভূমিকা—এ বিষয়গুলোকে ইসরায়েলি বিশ্লেষকরা ‘নতুন হুমকি’হিসেবে বর্ণনা করছেন। গাজায় চলমান হামলা এবং আঞ্চলিক আগ্রাসনের মধ্যেই তুরস্ক গত আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয়।

আটলান্টিক কাউন্সিলের নন-রেসিডেন্ট ফেলো ওমর ওজকিজিলসিক বলেন, আঙ্কারায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েল আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক বিশ্বাস করে, ইসরায়েল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সমর্থন রয়েছে।

কাতারে হামলার পর তুরস্কের মধ্যে আরেকটি শঙ্কা জন্মেছে, তা হলো— ন্যাটো জোটের প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর? কারণ, কাতার ‘মেজর নন-ন্যাটো অ্যালাই’ হলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

ওমর ওজকিজিলসিকের মতে, তুরস্ক বহু আগেই বুঝে গেছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর ওপর নির্ভর করা যাবে না।

‘গ্রেটার ইসরায়েলভিশন ও তুরস্কের শঙ্কা

সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছেন তিনি ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণায় বিশ্বাসী। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ভিশনের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে দুর্বল ও বিভক্ত রাখা।

গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েল শুধু গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালায়নি, পাশাপাশি ইয়েমেন, সিরিয়া ও কাতারেও হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ায় স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েল একের পর এক বোমা বর্ষণ করেছে এবং নতুন ভূখণ্ড দখল করেছে। নেতানিয়াহুর 'গ্রেটার ইসরায়েল' নিয়ে দেয়া বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিস্তৃত ইসরায়েলি আধিপত্যের দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত।

এ বিষেয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিদান হাকান বলেন, কিছু ধর্মীয় ইহুদিবাদীরা মনে করেন ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক সিরিয়া, লেবানন, মিশর এবং জর্ডান পর্যন্ত বিস্তৃত। এর লক্ষ্য এই অঞ্চলের দেশগুলিকে দুর্বল, অকার্যকর রাখা এবং বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বিভক্ত রাখা।

আঞ্চলিক প্রভাব

অঞ্চলটিতে একমাত্র প্রভাবশালী শক্তি হতে চাচ্ছে ইসরায়েল। ধারণাটি জুলাই মাসে নিশ্চিত হয়ে গেছে, তখন তুরস্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়ার বিশেষ দূত টম ব্যারাক স্বীকার করেন, ইসরায়েল একটি বিভক্ত এবং খণ্ডিত সিরিয়াকেই বেশি পছন্দ করে। তার কথায়, ‘শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো হুমকি, বিশেষত আরব রাষ্ট্রগুলো, যাদের ইসরায়েলের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়।’

ইসরায়েল নিজেকে সুরক্ষিত বোধ করার জন্য অঞ্চলটির একমাত্র অধিপতি হতে চায়, আঙ্কারার জন্য এই বার্তাটি ছিল স্পষ্ট। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডও তা প্রমাণ করে। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মস্কো পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ায় ডজন ডজন বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল এবং বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে সিরিয়ার ভূখণ্ডও দখল করেছে।

২০২৪ সালে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের বড় অংশকে নিশ্চিহ্ন করে এবং যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও লেবাননের অংশ দখল করে রেখেছে। দীর্ঘদিন ধরে যোদ্ধাদের দুর্বল বা ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে গত জুনে ইরানে হামলা চালায়  ইসরায়েল, এই সংঘাত ১২ দিন স্থায়ী ছিল। এতে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হয়, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন এবং পরে সংঘাতে জড়িয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রও।

এই হামলার লক্ষ্য ছিল কেবল তেহরানের প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক সক্ষমতাকে দুর্বল করা নয়, বরং দেশটির সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইসরায়েলের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে দিতে পারে।

এখন তুরস্ককে নিজেদের আঞ্চলিক আধিপত্যের পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে  ইসরায়েল। নেতানিয়াহু আগেই বলেছিলেন, আঙ্কারাকে সিরিয়ায় নতুন ঘাঁটি গড়তে দেয়া হবে না, যেগুলো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে পারে।

তুর্কি-ইসরায়েলি সংঘর্ষের প্রথম রূপটি সম্ভবত সিরিয়া সীমান্তে স্থল ও আকাশে দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছেন অবসরপ্রাপ্ত তুর্কি অ্যাডমিরাল ও ‘ব্লু হোমল্যান্ড’ সামুদ্রিক নীতির প্রণেতা জেম গুরদেনিজ। এই নীতি তুরস্ককে এজিয়ান, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরে সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা এবং তার স্বার্থ রক্ষার আহ্বান জানায়।

গুরদেনিজ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় গ্রীস ও গ্রীক সাইপ্রাস প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে সাইপ্রাসে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও গোয়েন্দা উপস্থিতি আঙ্কারার কাছে ‘ব্লু হোমল্যান্ড’ ভাঙার এবং আটকে রাখার এক সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।’

‘আঙ্কারার কাছে এটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নয়, বরং আক্রমণাত্মক বেষ্টনী কৌশল যা তুরস্কের সামুদ্রিক স্বাধীনতা ও তুর্কি সাইপ্রাসবাসীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে,’ যোগ করেন গুরদেনিজ।

সাইপ্রাসের বিভক্তি তুরস্ক, গ্রীস ও সাইপ্রাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের প্রধান উৎস। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সাইপ্রাস ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে, যা আঙ্কারার মধ্যে উদ্বেগ বাড়াতে পারে। পাশাপাশি ইসরায়েলের দাবি, একটি স্থিতিশীল সিরিয়া কেবল ‘ফেডারেল’ হতে পারে, যেখানে ‘বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসন’ থাকবে। অন্যদিকে তুরস্ক সমর্থন করছে নতুন সিরীয় প্রশাসনকে, যারা কেন্দ্রীভূত ও ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রের ওপর জোর দিচ্ছে।

তুরস্কের নেকমেত্তিন এরবাকান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ও রিজিওনাল স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক গোকহান চিনকারা বলেন, ‘‘বর্তমানে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনাকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ বলা যায়। তবে তুরস্কের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি হবে সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণহীন অন্তর্দলীয় সংঘাতের বিস্তার। এই কারণে, আঙ্কারা সম্ভবত নতুন সিরীয় প্রশাসনকে কিছুটা বাস্তববাদী প্রাগম্যাটিক আচরণ করার পরামর্শ দিচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘সিরিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর অপরিপক্বতার কারণে সম্ভাব্য অন্তর্দলীয় সংঘাতকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। স্বল্পমেয়াদে তাই একটি একক রাষ্ট্র মডেল গ্রহণ করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে।’

রেড লাইন ও ঝুঁকি

নেতানিয়াহু ‘বাল্কানাইজড’ সিরিয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন, যা জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত হবে। তিনি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ অংশকে নিরস্ত্রীকরণ করারও দাবি জানাচ্ছেন, যেখানে মূলত দ্রুজ জনগোষ্ঠী বসবাস করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে দেশটির অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে, যেমন কুর্দি ও আলাউইদের মধ্যে, নিজ নিজ স্বায়ত্তশাসনের দাবি উসকে দিতে পারে।

আঙ্কারাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেটার পররাষ্ট্রনীতি গবেষণা পরিচালক মুরাত ইয়েশিলতাস বলেন, ‘সিরিয়ায় স্পষ্ট রেড লাইন রয়েছে তুরস্কের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আঞ্চলিক শৃঙ্খলা পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিপদ ও ঝুঁকি  রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে বিভাজনকে গভীর করছে।’

মার্চে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রভাবশালী নিরাপত্তা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইএনএসএস), একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। যেখানে তুরস্ক ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) মধ্যে উদীয়মান শান্তি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়। দলটি তুরস্কের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র অভিযানের অধ্যায় শেষ করতে চাইছে, যে সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

আইএনএসএস সতর্ক করে জানায়, এটি সিরিয়ার কুর্দিদের স্বায়ত্তশাসিতভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে এবং আঙ্কারাকে দক্ষিণ সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তারে উৎসাহিত করতে পারে, যা ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতার জন্য হুমকি বাড়াতে পারে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে নবদখলকৃত ভূখণ্ড ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ দখলে রাখা হবে।

এছাড়া নতুন প্রতিষ্ঠিত দামেস্ক সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে হোমস প্রদেশে সম্ভাব্য সামরিক ঘাঁটি ও হামা প্রদেশের প্রধান বিমানবন্দর পর্যবেক্ষণ করছিল তুরস্ক। সেই স্থানগুলোই ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে।

কিংস কলেজ লন্ডনের নিরাপত্তা অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক আন্দ্রেয়াস ক্রিগ, পূর্ণমাত্রার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ‘অনিবার্য নয়’, কারণ উভয় পক্ষই সংঘাতের মূল্য বুঝে, বিশেষত অর্থনৈতিক আন্তঃনির্ভরশীলতার কারণে। ইসরায়েলের তুরস্কের প্রতি হুমকি প্রচলিত সামরিক আগ্রাসন নয় বরং তুর্কি স্বার্থকে পরোক্ষ উপায়ে লক্ষ্যবস্তু করা। এ সময় তিনি সিরিয়া, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণ ককেশাসে আঙ্কারার স্বার্থের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।

নেতানিয়াহুর ‘অঞ্চল পুনর্গঠনের’ প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ ও নিঃশর্ত সমর্থন বিবেচনায় রেখে, ক্রিগ বলেন আঙ্কারার জন্য সমাধান হচ্ছে, ‘কৌশলগত প্রতিরোধ শক্তিশালী করা, বিশেষত সম্প্রসারিত আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা সক্ষমতার মাধ্যমে। পাশাপাশি কাতার, জর্ডান ও ইরাকের সঙ্গে আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলা এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে তুরস্কের সংলাপ বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে সম্পূর্ণভাবে কৌশলগত বিচ্ছিন্নতা এড়ানো যায়।’

‘আঙ্কারাকে স্বীকার করতে হবে যে ভবিষ্যতের সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু মূলত ধূসর অঞ্চলে দেখা দেবে। গোপন অভিযান, বিমান হামলা ও প্রক্সি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা কূটনীতির মাধ্যমে নয়’ যোগ করেন অধ্যাপক আন্দ্রেয়াস ক্রিগ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!