দক্ষিণ লেবাননের বেন্ট জবেইল শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে তিন মার্কিন শিশুও রয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এনএনএ বলছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি। এ হামলায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবিহ বেরি জানান, নিহত তিন শিশুর নাম সেলিন, হাদি ও আসিল। তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, হামলায় হিজবুল্লাহর এক সদস্য নিহত হয়েছে। তবে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছে তারা।
নবিহ বেরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লেবাননের শিশুরা কি ইসরায়েলি রাষ্ট্রের জন্য অস্তিত্বগত হুমকি, নাকি কোনো জবাবদিহি ছাড়া হত্যাযজ্ঞ চালানো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আসল হুমকি?’
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম ঘটনাটিকে ‘নতুন হত্যাযজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং দক্ষিণে নিজেদের গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষদের ভয় দেখানোর বার্তা।’
শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ হায়দার অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে দক্ষিণ লেবাননে ফিরে আসা জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনা সফল হবে না। দক্ষিণের জনগণের ইচ্ছাশক্তি অপরাধী যন্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী।’
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান রয়েছে দাবি করে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ইরান-সমর্থিত এই সংগঠনকে পুনরায় সামরিক শক্তি গড়ে তুলতে বাধা দেওয়াই উদ্দেশ্য। গত যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহর অধিকাংশ শীর্ষ নেতা, এমনকি দীর্ঘদিনের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহও নিহত হন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং লেবাননের ভেতরের হিজবুল্লাহবিরোধীরা সংগঠনটিকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য চাপ দিচ্ছে। লেবাননের সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুতে মন্ত্রিসভায় হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে।
তবে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েল যতক্ষণ লেবাননে হামলা চালাচ্ছে এবং দক্ষিণের ভূমি দখল করে রেখেছে, ততক্ষণ অস্ত্র সমর্পণ করা হবে মারাত্মক ভুল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন