বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

ফ্রান্সে দুই দিনের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা ম্যাখোঁর

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ছবি- সংগৃহীত

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ছবি- সংগৃহীত

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় টালমাটাল ফান্সে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ দেবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। দেশটির প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এবং দপ্তর এলিসি প্রাসাদের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অধিকাংশ আইনপ্রণেতা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিপক্ষে। তারা স্থিতিশীলতা চান। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন একটি বাজেট গৃহীত হওয়ার কথা আছে। সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন পার্লামেন্টে স্থিতিশীলতা। তাই সবদিক বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হবে।’

গত ৬ অক্টোবর পদত্যাগ করেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান লেকোর্নো। ম্যাখোঁর বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিবিদ এখন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় আছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পেলে বিদায় নেবেন তিনি।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। গত দুই বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ লেকোর্নো। ১৪ ঘণ্টা আগে তিনি নিজের নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ লেকোর্নোকে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। 

সম্প্রতি জাতীয় বাজেট কাটছাঁট নিয়ে সরকারে প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ফ্রান্সের জনগণ ও বিরোধী দলগুলো। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারে স্বস্তি দিতে গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে কল্যাণমূলক ও জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন খাত থেকে সরকারি বরাদ্দের অর্থ কাটছাঁট করার একটি প্রস্তাব পাস করে ফ্রান্সের মন্ত্রিসভা; পাস হওয়া সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, বাজেট সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত থেকে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দের মোট ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে ফেলা হয়। 

এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ফ্রান্সের সাধারণ জনগণ। জনগণের ক্ষোভকে আমলে নিয়ে পার্লামেন্টে লেকোর্নোর পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী ফাঙ্কোইস বায়রোকে আস্থাভোটের চ্যালেঞ্জ জানান বিরোধীদলীয় এমপিরা। সেই ভোটে হেরে গিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর বিদায় নেন বায়রো। তার বিদায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লেকোর্নোকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন ম্যাখোঁ।

কিন্তু লেকোর্নো আসার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ফ্রান্সের কট্টর বামপন্থি রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছিল। ফলে দায়িত্ব গ্রহণের ২৭ দিনের এবং মন্ত্রিসভা গঠনের ১৪ ঘণ্টার মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান লেকোর্নো।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!