জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের বৈধতা নিয়ে বুধবার (৫ নভেম্বর) শুনানি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্র বিন্দুতে আঘাত করেছে এই মামলাটি।
বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে।
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওয়াশিংটনের কাছে অন্যায্য বলে বিবেচিত বাণিজ্য অনুশীলনের ওপর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি তার দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের পণ্যের উপরেও পৃথক শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।
কিন্তু মার্কিন শিল্পকে রক্ষা ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই শুল্ক আরোপ দ্রুত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। মে মাসে একটি নিম্ন আদালত রায় দেয় যে ট্রাম্প শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে তার কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করেছেন, তবে প্রশাসনের আপিল সেগুলো সাময়িকভাবে বহাল রাখার অনুমতি দেয়।
আগস্ট মাসে মার্কিন ফেডারেল সার্কিটের আপিল আদালত ৭-৪ ভোটে শুল্ক আরোপকে অবৈধ বলে রায় দিয়ে নিম্ন আদালতের রায় নিশ্চিত করলে ট্রাম্পকে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যেতে বাধ্য করে। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তের বড় ধরনের প্রভাব পড়বে, তবে এই সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
রক্ষণশীল-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট শুল্ক আরোপকে অবৈধ বলে ঘোষণা করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক বন্ধ করে দেবে। তবে বিচারকরা ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারেন, যা আরও শুল্ক আরোপের দরজা খুলে দেবে।
এ ছাড়াও, ইতোমধ্যে সংগৃহীত কোটি কোটি ডলারের শুল্ক রাজস্ব এবং অনুকূল বাণিজ্য চুক্তির জন্য ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রচেষ্টা অথবা অন্যান্য রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও অটোমোবাইলসহ ট্রাম্পের আরোপিত খাত-নির্দিষ্ট শুল্কের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে না।
তবে ট্রাম্পের শুল্ক ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি না করলেও, মার্কিন কোম্পানিগুলো বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, তারা অতিরিক্ত খরচের বোঝা বহন করছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন