ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত দুই দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশ মিলে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন টাকা) ব্যয় করেছে। এতে দুই দেশের অর্থনীতি আরও চাপের মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ভারত প্রতিদিন আকাশে গড়ে ১০০টি যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে আছে রাফাল, মিরাজ-২০০০, সুখোই এবং তেজস। প্রতিটি বিমানের একদিন চালাতে গড়ে ৮০ হাজার ডলার খরচ হচ্ছে।
শুধু বিমান পরিচালনার খরচেই এক মাসে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার।
এর পাশাপাশি ভারত প্রতিদিন ৩০টির মতো ড্রোন এবং ‘লোইটরিং মিউনিশন’ ব্যবহার করছে। হেরন, সার্চার ও হ্যারোপ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে নজরদারির জন্য। এসব ড্রোন পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, উপগ্রহ যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্য প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার, যা এক মাসে দাঁড়িয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া প্রতিদিন ভারত থেকে গড়ে ১০টি ব্রহ্মস ও ২০টি প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে এক মাসে ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার।
জ্বালানি, বিমান প্রতিরক্ষা, নৌবাহিনী ও সেনা প্রস্তুতির অন্যান্য খরচ যোগ করলে, ভারতের প্রতিদিনের সামরিক ব্যয় দাঁড়াচ্ছে গড়ে ১১০ মিলিয়ন ডলার। সব মিলে তিন সপ্তাহে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫.৪ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি ভিন্ন নয়। দেশের সামরিক খরচ, জ্বালানি সংকট, বাণিজ্য স্থবিরতা ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করেছে। যদিও পাকিস্তানের সামরিক ব্যয় ভারত থেকে কম, কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া ও মূল্যস্ফীতির কারণে দেশটির আর্থিক অবস্থা আরও সংকটে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশেরই অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।