নেপালে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ ও সহিংসতার মুখে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল।
আজ দুপুরে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়েছে।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে। এ ছাড়া কে পি শর্মার ব্যক্তিগত বাসভবনও ভাঙচুর করা হয়।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নেপালে সহিংস বিক্ষোভে কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ধাওয়া ও মারধর করা হয় অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাউডেলকে। এ ছাড়া নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তার স্ত্রী অর্জু রানা দেউবা—দুজনকেই তাদের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা মারধর করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পদত্যাগের পর কে পি শর্মা অলি ব্যক্তিগত বিমানে দুবাই যেতে পারেন বলে জানা গেছে। এর আগে অলি এক বিবৃতিতে বলেন, পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে সংলাপে রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ প্রশাসনিক এলাকার বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সানেপায় নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ললিতপুরে সিপিএন-ইউএমএল দলের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, এমনকি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আহত হন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন