তাইওয়ানে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের পর শক্তিশালী টাইফুন ‘রাগাসা’ এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে। ইতোমধ্যেই তাইওয়ানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাগাসা’র প্রভাবে ফিলিপাইনের প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জ ও তাইওয়ানের পার্বত্য অঞ্চল তছনছ হয়ে গেছে। ঘণ্টায় ১৬৮ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতে ‘রাগাসা’ দক্ষিণ চীনের জনবহুল শহরগুলো—হংকং ও শেনজেনে আঘাত হানছে। ঝড়ের প্রভাবে হংকংয়ের সড়কে গাছ উপড়ে পড়েছে, সমুদ্রের ঢেউ তীর উপচে পড়ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঝড়ো জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র তীরবর্তী একটি হোটেলের কাচের দরজা ভেঙে পানি লবিতে ঢুকে পড়ছে এবং মানুষকে ভাসিয়ে নিচ্ছে। যদিও এ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
হংকং ও ম্যাকাওয়ে ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্কুল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। হংকং অবজারভেটরি সতর্ক করেছে, কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।
এরইমধ্যে চীনের গুয়াংডং প্রদেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে ১০ লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ১০ হাজারের বেশি জাহাজ নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ৩৮ হাজারেরও বেশি অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন।