শরতের শুরুতেই ভোরের আকাশে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বইছে শীতের আগমনী সুর। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা জমে ভোরের পরিবেশকে শীতল করে তুলছে।
প্রতিদিন ভোরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, যা সকাল ৭টা পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। তবে দিনের বেলায় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হয়।
সাধারণত অক্টোবরের শুরু থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়। এ বছর আগেভাগেই মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস শীতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমানে দিনে ২৮-২৯ ডিগ্রি ও রাতে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরে ফসলের মাঠ ও গাছপালায় জমে থাকা শিশির বিন্দু শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট করছে।
শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করায় ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা শীতকালীন সবজি, গম ও আলুর চাষ শুরু করেছেন। পাশাপাশি লেপ-তোশক ও শীতের পোশাকের দোকানগুলোতেও ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
এদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি-জ্বরসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু ও বয়স্ক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ সময়ে ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার, বাইরে মাস্ক ব্যবহার এবং সন্ধ্যার পর অযথা বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বর্তমানে মৌসুমী বায়ু নিষ্ক্রিয় থাকায় উত্তরের হিমেল বাতাস বইছে। এ জন্য ভোরে কুয়াশা ও হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। এটি মূলত শীতের আগমনী বার্তা। তবে শিগগিরই আকাশ পরিষ্কার হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।