সমুদ্রে কয়েক মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর নিজেদের বানানো প্রথম বিমানবাহী রণতরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাহিনীতে সংযুক্ত করেছে চীন। বেইজিংয়ের তৃতীয় এ বিমানবাহী রণতরীর নাম ফুজিয়ান—এই নামকরণ যে প্রদেশের নামে হয়েছে সেটি তাইওয়ানের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার (৫ নভেম্বর) হাইনান প্রদেশে রণতরী ফুজিয়ানের যাত্রার সূচনা ও পতাকা উপহার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং নৌযানটিতে উঠে তা ঘুরে দেখেন। শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
চীনের প্রথম দুটি বিমানবাহী রণতরী রুশ নকশায় তৈরি হয়েছিল। নতুনটির ফ্লাইট ডেক সমতল হওয়ায় এবং বিমান উড্ডয়নে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় ক্যাটাপুল্ট ব্যবহারের সুযোগ থাকায় এটি আগের দুটি রণতরীর চেয়ে অত্যাধুনিক ও অনেক বেশি কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগের দুই রণতরী লিয়াওনিং ও শ্যানডং তুলনামূলক ছোট এবং বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে র্যাম্পের ওপর নির্ভরশীল। সে তুলনায় ফুজিয়ান বেশি এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র সম্বলিত জঙ্গিবিমান বহন করতে পারবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বে নামার আগে সমুদ্রে পরীক্ষামূলক চলাচলের সময় চীনের নৌবাহিনী বিমানবাহী রণতরীতে ব্যবহার উপযোগী জে-৩৫ স্টেলথ জঙ্গিবিমানের একটি নতুন সংস্করণ ও আগাম হুমকি শনাক্তে সক্ষম উড়োজাহাজ কেজে-৬০০ এবং এখন তাদের সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত দেখা যাওয়া জে-১৫ জঙ্গিবিমান উড়িয়েছে।



