ঢাকা শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

সিউল-টোকিওর অভিযোগ

ফের সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
প্রতীকী ছবি।

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলের সমুদ্র লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। গত দুই সপ্তাহ ধরে আরও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পের নতুন আমন্ত্রণের পর শুক্রবার তারা এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়ল। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছে সেটি স্বল্পপাল্লার বলে তারা সন্দেহ করছে। এটি চীন সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছোড়ার পর ৭০০ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব অতিক্রম করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নজরদারি ব্যবস্থাপনা ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার প্রস্তুতি শনাক্ত ও উড্ডয়নকালে এর গতিপথ অনুসরণ করেছে; সব তথ্য জাপানের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে, বলেছে তারা।

জাপানের সরকার বলেছে, উত্তর কোরিয়া যেটি ছুড়েছে সেটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে বলে তাদের সন্দেহ এবং এটি জাপানের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমার বাইরে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি।

দিনকয়েক আগে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় ট্রাম্প বারবারই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বসার আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। তার আকাঙ্ক্ষায় শেষ মুহূর্তে দুই নেতার বৈঠক হয়েও যেতে পারে বলে অনেকে আশাবাদী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোনো বৈঠক না হলেও ট্রাম্প বলেছেন, কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওই অঞ্চলে আবার যেতে তিনি আগ্রহী।

সিউলের বিমানবন্দরের টিভি স্ক্রিনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের খবর

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত পানমুনজন গ্রামে কিমের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক আগ্রহ নিয়ে কিম এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও কয়েক মাস আগে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের ‘সুন্দর স্মৃতিগুলো’ তার মনে রয়েছে এবং যদি ওয়াশিংটন তার দেশের পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের বিষয়ে চাপ দেওয়া বন্ধ করে, তবে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মুদ্রাপাচারের অভিযোগে তাদের অনেক প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন পিয়ংইয়ংকে ‘চটিয়েছে’ এবং তারা এর বদলা নেবে। যদিও কীভাবে বদলা নেওয়া হবে তার বিস্তারিত জানায়নি তারা।

এর আগে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের আগে আগে উত্তর কোরিয়া তাদের ভাষায় একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, সমুদ্র থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।