জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সর্বশেষ শহীদ হাসানকে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। হাসিনার নির্দেশে বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মাথার খুলি উড়ে যাওয়া হাসানকে 'হাসিনা শাহীর বিরুদ্ধে বুক টানটান করে দাঁড়ানো' এক বীর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৪ মে) তার জানাজায় উপস্থিত জনতা খুনিদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার ছিল।
খুনিদের বিচারের দাবিতে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুকে এক বার্তা দেন, বার্তায় তিনি বলেন, খুনি হাসিনার নির্দেশে বুলেটে বিদ্ধ হয়ে মাথার খুলি উড়ে যাওয়া ভাই হাসানের জানাজা আজ অনুষ্ঠিত হয় শহীদ মিনারে।
জুলাই অভ্যুত্থানের সর্বশেষ শহীদ ছিলেন আমাদের সহযোদ্ধা হাসান, যিনি বুক টানটান করে দাঁড়িয়েছিলেন হাসিনা-শাহীর বিরুদ্ধে।
এত রক্ত, এত প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনার পর, আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব ছিল খুনিদের, হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা।
কিন্তু, যেন কোনো অদৃশ্য ইশারায় সেই কাঙ্ক্ষিত বিচারপ্রক্রিয়া থমকে আছে। বিচার দাবি করলেই আমাদের দীর্ঘসূত্রিতা দেখানো হয়, শোনানো হয় নানা যুক্তি ও ব্যাখ্যা।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুনি হাসিনার বিচার না করে কোথাও যেতে পারবে না। গণহত্যার মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের মুখোমুখি না করে আসিফ নজরুল স্যারও তাঁর পদের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন না।
জুলাইয়ের উত্তাল দিনে শহীদ হাসান ছিলেন আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা সহযোদ্ধা। আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হত্যার বিচার চাই। এই বিচার থেকে কেউ ফাঁকি দিয়ে পার পাবে না। আমরা ক্ষমা করব না।
এই জানাজা শুধু বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা নয়—প্রতিটি জানাজা আমাদের কাছে একেকটি শপথের নতুন সূচনা।
মনে রাখবেন, আমরা ভুলব না, থামব না।
এদিকে, জানাজায় অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা ও বক্তারা বলেন, এত রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনার পর খুনি ও হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেই বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে। বিচারের দাবি উঠলেই 'দীর্ঘসূত্রিতা' এবং 'নানা যুক্তি ও ব্যাখ্যা' দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :