মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান যৌথভাবে জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। কিয়েভের ওই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে ইউক্রেনে সফর করছেন তারা।
শনিবার (১০ মে) ইউক্রেনে পৌছে ফ্রান্স, জার্মান, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যোর নেতার কিয়েভের রেলস্টেশনে মিলিত হন। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা কিয়েভের স্বাধীনতা স্কোয়ারে নিহত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের জন্য নির্মিত একটি অস্থায়ী পতাকা স্মারকে ফুল দেন।
এই সফরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চার দেশের নেতারা একসাথে ইউক্রেনে সফর করছেন। অন্যদিকে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মের্জ প্রথমবারের মতো ইউক্রেন সফর করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন, যেন সংঘাতের অবসানে শান্তি আলোচনা শুরু হয়। গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব মেনে নেয় ইউক্রেন। কিন্তু ক্রেমলিন তার পছন্দের চেয়ে বেশি যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি মেনে নেয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি চুক্তির আহ্বানের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। এবং রাশিয়াকে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আমরা রাশিয়াকে একটি পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহযোগী আন্দ্রি ইয়েরমাক তার টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘অনেক কাজ আছে, আলোচনা করার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে। আমাদের এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে ন্যায়সঙ্গত শান্তির মাধ্যমে। আমাদের মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য করতে হবে।’
এদিন সন্ধ্যায় নেতারা জেলেনস্কির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে ভবিষ্যতে ‘সহযোগী ঐক্য’ গঠনের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে। যা শান্তি চুক্তির পরে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করবে এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতের যেকোনো শান্তি চুক্তির তদারকিতে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে পারবে।