যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে সেটি হবে পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে হুমকির মাধ্যমে নয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর এমন মন্তব্য করেন ইইউর বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকোভিচ। খবর বিবিসির।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপ থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন।
এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি না হওয়া আইফোনসহ সব ধরনের স্মার্টফোনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সেফকোভিচ বলেন, ‘আমরা একটি কার্যকর ও যৌক্তিক চুক্তির পক্ষে। আমাদের লক্ষ্য হলো পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া। হুমকির ভিত্তিতে নয়।’
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির এবং বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
চলতি বছর এপ্রিলে ট্রাম্প ইইউর অধিকাংশ পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পরে আলোচনার সুযোগ দিতে ৮ জুলাই পর্যন্ত ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রাখেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নতুন কোনো চুক্তি চাই না, চুক্তি আমরা তৈরি করে ফেলেছি। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বড় বিনিয়োগ করলে আমি শুল্ক আরোপে কিছুটা বিলম্ব করতে পারি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ইইউ এবং আমদানি করে ৩৭০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপ ইচ্ছাকৃতভাবে বাণিজ্য ঘাটতি টিকিয়ে রাখছে যা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ইউরোপের গাড়ি ও কৃষিপণ্যের নীতিমালা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেন, ‘এই পথে এগোনো সঠিক হবে না। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই টেকসই সমাধান সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের পর শুক্রবার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে দরপতনের খবর পাওয়া গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :