উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে গড়া হলো এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। জুলিয়ান ক্যাশ ও লয়েড গ্লাসপুল তাদের স্বপ্নের গ্রীষ্মকালীন সফরকে স্মরণীয় করে তুললেন, যখন তারা পুরুষদের ডাবলসে রিঙ্কি হিজিকাটা ও ডেভিড পেলের বিপক্ষে ৬-২, ৭-৬(৩) সেটে জয় তুলে নেন।
এই জয়ের মাধ্যমে তারা কেবল নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাই জেতেননি, বরং ১৯৩৬ সালের পর প্রথম অল ব্রিটিশ জুটি হিসেবে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে ট্রফি ঘরে তোলার গৌরব অর্জন করলেন।
১৯৩৬ সালে প্যাট হিউজ ও রেমন্ড টাকি সর্বশেষ অল ব্রিটিশ জুটি হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন। প্রায় এক শতাব্দী পর এই বিরল ইতিহাসে নিজেদের নাম লেখালেন ক্যাশ গ্লাসপুল।
খেলা শেষে গ্লাসপুল বলেন, যখন আপনি এটা বলেন, তখন সত্যিই অবিশ্বাস্য শোনায়। গত দুই বছরেও একজন করে ব্রিটিশ জিতেছে, কিন্তু এবার আমরা দুজনই জিতেছি।
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে ছিল ব্রিটিশ জুটি। পেলের দুর্বল সার্ভের সুযোগ নিয়ে শুরুতেই ব্রেক আদায় করে নেন তারা। প্রথম সেট খুব সহজেই নিজেদের করে নেন ক্যাশ ও গ্লাসপুল।
দ্বিতীয় সেটে কিছুটা চাপ তৈরি করে অস্ট্রেলিয়ান-ডাচ জুটি হিজিকাটা-পেল। বিশেষ করে ৪র্থ গেমে তারা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেললেও ব্রিটিশরা দৃঢ়তা দেখিয়ে ৪-২ লিড নেয়।
পরে হিজিকাটা-পেল ৪-৪ সমতায় ফিরলেও টাইব্রেকে নিজেদের খেলার মান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ তারকারা।
ম্যাচ শেষে ক্যাশ বলেন, আমরা ঘাসের কোর্টে যত ম্যাচ খেলা সম্ভব সব খেলেছি। তাই মানুষ আমাদের নিয়ে আলোচনা করছিল, অনেক প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা সত্যিই স্বপ্নের মতো।
অন্যদিকে রানার্স-আপ হলেও হাসিমুখে ছিলেন ডেভিড পেল ও রিঙ্কি হিজিকাটা। ৩৪ বছর বয়সি পেল বলেন, টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার দিনই আমাদের প্রথম দেখা ও কথা। এরকম একসাথে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত আসাটা অভাবনীয়।
২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ডাবলসজয়ী হিজিকাটা বলেন, ডেভিড দুর্দান্ত সহযোগিতা করেছেন। এই যাত্রা ছিল দারুণ মজার। সেন্টার কোর্টে খেলা সত্যিই স্বপ্ন পূরণের মতো।
আপনার মতামত লিখুন :