৩৮ বছর বয়সেও কাইরন পোলার্ড যেন থেমে যাবার পাত্র নন। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ব্যাটিং কোচ হলেও ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই আবার সেই চেনা বিধ্বংসী অলরাউন্ডার। শুক্রবার রাতে ডালাসে সেটাই আবারও প্রমাণ করলেন তিনি।
মাত্র ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ ওভারের পরেও যখন জয়ের জন্য প্রতি ওভারে ১২-এর বেশি রান দরকার, তখনই ক্রিজে নামলেন পোলার্ড।
প্রথম বলেই নূর আহমেদের বলে তুলে মারলেন ১০০ মিটারের বিশাল ছক্কা! এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে এমআই নিউইয়র্ককে পৌঁছে দিলেন এমএলসি ২০২৫-এর ফাইনালে।
এর আগে কুইন্টন ডি কক ও মাইকেল ব্রেসওয়েল যখন সাত ওভারের মধ্যে ফিরে যান, তখন এমআই নিউইয়র্কের রান মাত্র ৪৩। মনাঙ্ক প্যাটেল কিছুটা লড়াই করলেও তার স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১২০-এর মতো।
১৩তম ওভারে তিনি আউট হন ৪৯ রান করে, তখন দলীয় রান ৮৩।
মনাঙ্ক আউট হওয়ার পর নেমেই মারকুটে ব্যাট চালান পোলার্ড। নূর আহমদের বলেই শুরু ছক্কা দিয়ে। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ১৭তম ওভারে, যখন জিয়া-উল-হক বল করতে আসেন।
সেই ওভারেই পোলার্ড মারেন ৬, ৪, ৪, ২, ৬ ওভারে আসে ২৩ রান। সেই ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে টেক্সাস সুপার কিংস।
শেষ ওভারে নিকোলাস পুরান ম্যাচ শেষ করেন ছক্কা মেরে। ৩৬ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ব্যাট হাতে টেক্সাস সুপার কিংসের হয়ে একমাত্র লড়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস। তার ৪২ বলে ৫৯ রান ও আকীল হোসেন ৩২ বলে ৫৫* ও ডোনোভান ফেরেইরা ২০ বলে ৩২* রানের উপর ভর করে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় টেক্সাস।
ম্যাচ সারসংক্ষেপ
টেক্সাস সুপার কিংস – ১৬৬/৫ (ডু প্লেসিস ৫৯, হোসেন ৫৫*, ফেরেইরা ৩২*, লুয়ুস ৩-৩৫, উগারকর ২-৩১)
এমআই নিউইয়র্ক – ১৭২/৩ (পুরান ৫২*, মনাঙ্ক ৪৯, পোলার্ড ৪৭*, হোসেন ১-১১)
ফল: এমআই নিউইয়র্ক ৭ উইকেটে জয়ী
ফাইনালে মুখোমুখি: এমআই নিউইয়র্ক বনাম ওয়াশিংটন ফ্রিডম
আপনার মতামত লিখুন :