নতুন পেনশন সংস্কার আইনের প্রতিবাদে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্সে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভালোবাসার শহর প্যারিস। জ্বলছে আগুন। পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ জনতার বিরুদ্ধে।
জনগণের অভিযোগ, সাধারণ নাগরিকদের জন্য কোনো সদর্থক ভূমিকা পালন করেননি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের আর্থিক নীতিও শোচনীয়। দীর্ঘদিন ধরে করুণ পরিস্থিতি সহ্য করছেন তারা। এবার ভেঙেছে ধৈর্যের বাঁধ। অবিলম্বে ম্যাখোঁর পদত্যাগ দাবি করছে বিক্ষোভকারীরা।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্লক এভরিথিং' স্লোগান তুলে সকলকে রাস্তায় জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান প্যারিসেরই কিছু প্রগতিশীল সংগঠন। তারপর সেই প্রতিবাদ অনলাইন থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্যারিসের রাজপথে। প্ল্যাকার্ড হাতে, স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে পড়েছে জনতা। বিক্ষোভ দমাতে মোতায়েন করা হয়েছে অসংখ্যক পুলিশ। বিভিন্ন শহরে প্রায় ৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার সম্প্রতি পেনশন সংস্কার আইন পাস করেছে। নতুন আইনে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সারা দেশের শ্রমিক, ছাত্র এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। প্রতিবাদকারীরা মনে করছেন, এই আইন শ্রমজীবীদের অধিকার খর্ব করবে এবং কর্মজীবনের চাপ বাড়িয়ে দেবে।
এমনিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এ আন্দোলন পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর পদত্যাগ চেয়েছেন। আস্থাভোটে হেরে ফ্রাঁসোয়া বায়রু প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সেবাস্টিয়েন লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ফ্রান্সের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও এখন এক হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন